দলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এখন দিল্লির তিহার জেলে। বাড়িতে একা রয়েছেন তাঁর একমাত্র মেয়ে সুকন্যা, যিনি নিজেও একাধিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। সেই মেয়ের খোঁজ নিতে ভুললেন না দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি। দলীয় নেতৃত্বকে সুকন্যার খেয়াল রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে।
শুক্রবার কালীঘাটে বীরভূম জেলা নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করেন মমতা ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন, বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশীষ ব্যানার্জি থেকে শুরু করে অনুব্রত বিরোধী বলে পরিচিত কাজল শেখ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বৈঠক চলাকালীন বীরভূমের দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে মমতা ব্যানার্জি বলেন, 'কেষ্ট (অনুব্রত মণ্ডল) এখন জেলে আছে। ওর মেয়েটা একা হয়ে গেছে। তোরা ওর খোঁজ খবর রাখিস।'
গোরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর সুকন্যা মণ্ডলকেও দিল্লিতে দু'বার হাজিরার নির্দেশ দেয় ইডি। কিন্তু কোনো বারই হাজিরা দেননি তিনি। ইডি আধিকারিকরা চান অনুব্রত ও সুকন্যা মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করাতে। বহু তথ্যে গরমিল মেলায় এই জেরার প্রয়োজন রয়েছে বলে আধিকারিকরা মনে করছেন।
এছাড়া জানা যাচ্ছে বৈঠকে তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতির পদ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে সরানো হয়নি। বদলে ফিরহাদ হাকিম, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। অনুব্রত মণ্ডলকে রাখা হবে না বহিষ্কার করা হবে তা নিয়েও কোনও আলোচনা হয়নি।
পাশাপাশি কাজল শেখকেও সতর্ক করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বীরভূমের কোর কমিটিতে জায়গা পাওয়ার পর থেকেই কাজল শেখ একাধিক বার দলবিরোধী মন্তব্য করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের একাংশের। বীরভূম জেলার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতাদের উদ্দেশ্যেও সুর চড়িয়েছিলেন এই কাজল। বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো তাঁকে অতিরিক্ত কথা বলতে বারণ করেছেন। নির্দেশ না মানলে শো-কজ নোটিশও ধরানো হতে পারে তাঁকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন