আর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বাকি সমস্ত পদ বাতিল করা হয়েছে। পরিবর্তে ২০ জন সদস্যের জাতীয় কর্মসমিতি তৈরি হবে। এদিন কালীঘাটে নিজের বাড়িতে ডাকা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে কর্মসমিতিতে থাকা ২০ জনের নাম ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা হলেন - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, অমিত মিত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুখেন্দু শেখর রায়, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ বিশ্বাস, অনুব্রত মণ্ডল, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মলয় ঘটক, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, যশবন্ত সিনহা, গৌতম দেব, অসীমা পাত্র, বুলুচিক বরাইক, রাজেশ ত্রিপাঠী।
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর, তাঁর সংস্থা আইপ্যাক, 'এক ব্যক্তি এক পদ' সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকট হচ্ছিল। দলের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি লাইন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শেষ এক সপ্তাহে তা মাত্রা ছাড়ায়। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়ার জল্পনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি আজ বৈঠক ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত নেতারা সকলেই একবাক্যে জানান 'দলের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা।'
এই পরিস্থিতিতে দলের সমস্ত পদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় কর্মসমিতির ঘোষণা করেন দলনেত্রী। কর্মসমিতির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হলেও কার কোন পদ তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই বিষয়ে দলনেত্রী পরে বিস্তারিত জানাবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন