দীর্ঘ তল্লাশির পর ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই গ্রেফতারি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে সবকিছুই জানতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলে দাবি করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
তৃণমূলের ফের এক হেভিওয়েট নেতা গ্রেফতার হলেন। এই গ্রেফতারির পিছনে বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীর হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতার হওয়াটাইতো স্বাভাবিক। মুখ্যমন্ত্রী জানতেন বলেই গতকাল বলেছিলেন যদি ওর কিছু হয়ে যায় তাহলে এফআইআর করবো। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির সময়ও ঠিক একই কথা বলেছিলেন তিনি।"
তিনি আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির সমস্ত খবর পান। তিনি জানতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হবেন। যদি তিনি মনেই করেন যে জ্যোতিপ্রিয়র সাথে অন্যায় হয়েছে তাহলে সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করলেন না কেন? রাজীব কুমারের সময় রাস্তায় বসেছিলেন। তাহলে কি জ্যোতিপ্রিয়র থেকে রাজীব কুমার বেশি গুরুত্বপূর্ণ?"
বাম নেতা বলেন, "যত অপরাধ করবেন তত অপরাধীর মতো থাকতে হবে। শুধু ষড়যন্ত্রের শিকার বললে তো হবে না। যিনি জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন তিনি কী ষড়যন্ত্র করেছিলেন? মুখ্যমন্ত্রী সরকারিভাবে বারবার বলেছেন ১০ কোটি মানুষকে রেশন দিই। কিন্তু আমি বিধানসভায় প্রশ্ন করেছিলাম পশ্চিমবঙ্গে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ রেশন নেন। তাহলে বাকি ২.৫ কোটি মানুষের হিসাব কোথা থেকে পেলেন? এখান থেকেই স্পষ্ট রেশনে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হয়েছে"।
অন্যদিকে, সকাল ৮টা নাগাদ জ্যোতিপ্রিয়কে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে জোকা ইএসআই-তে নিয়ে যাওয়া হয়। ৩ ঘন্টা পর তাঁকে সেখান থেকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, আদালতে মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে তারা। রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুর রহমান এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন