ফের একবার সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, মহার্ঘভাতা বাধ্যতামূলক নয় ঐচ্ছিক বিষয়। পাশাপাশি বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার কারণও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বকেয়া মহার্ঘভাতা (DA)-র দাবিতে দীর্ঘদিন পথে ধর্না দিচ্ছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। একদিকে যখন সরকারি কর্মীদের তাঁদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়ছেন ঠিক সেই সময়ই বিধানসভায় বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। যার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। বুধবার বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে নিজের যুক্তি দেন মমতা ব্যানার্জি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বিধানসভায় অনেক বিধায়ক আছেন যাঁদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আছে তাঁদের বেতন প্রয়োজন নেই। কিন্তু অনেক বিধায়ক এমন আছেন যাঁরা এখনও চাষ করেন। ফলে তাঁদের সংসার চলবে কী করে? সেই কারণেই বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে"।
বকেয়া মহার্ঘভাতা না দেওয়ার জন্য বামেদের দিকেও আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "বামেদের জন্যই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। মহার্ঘভাতা দেওয়া যাচ্ছে না। বাম সরকার প্রচুর ঋণ নিয়েছিল। সেই ঋণ শোধ করতে হচ্ছে আমাদের। ২০১৯ সাল পর্যন্ত পঞ্চম পে কমিশন অনুযায়ী ৯০ শতাংশ মহার্ঘভাতা দিয়েছি। ধাপে ধাপে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়ে গেছে। ষষ্ঠ পে কমিশনের নিয়ম মানতে গিয়ে ২ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকার খরচ হয়ে গিয়েছে। তবে ডিএ কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়। ঐচ্ছিক বিষয়"।
এছাড়া ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েও বিরোধীদের নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, বিরোধীরা শুধু বকেয়া ডিএ নিয়ে সরকারের সমালোচনা করছে। এদিকে রাজ্য যে ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছে না তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে না বিরোধীরা। তখন মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে থাকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন