মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাপস মণ্ডল। ইডি দপ্তরে হাজিরার আগেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, মানিক ভট্টাচার্য ডি.এল.এডে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পিছু ৫০০০ টাকা নিতেন। যা প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির অস্বস্তি আরও বাড়ালো।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মানিক ভট্টাচার্য গ্রেপ্তার হওয়ার পরই তদন্তে নেমে তাপস মণ্ডলের নাম উঠে এসেছিল। কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমান তাপসবাবুও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকতে পারেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার ফের ডেকে পাঠানো হয় সিজিও কমপ্লেক্সে।
ইডি দপ্তরে ঢোকার আগেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাকে সমস্ত অফলাইনের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সবকিছু নিয়েই এসেছি। আর আমার কর্মচারীরা বলেছেন অফলাইনে ভর্তির জন্য ৫০০০ টাকা মহিষবাথানের অফিস থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোক আসত। লোক পাঠাতেন মানিকবাবু। ইডি আগে যে দাবি করেছিল তাতে কার্যত সিলমোহর দিলেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল।
এর আগে গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যের মোট ৬৪৯টি ডিএলএড রয়েছে। সেখানকার মোট আসন সংখ্যা ৪৭ হাজার ৭০০টি। কলেজ গুলিতে গড়ে যদি মোট ২৫ জন পড়ুয়া থাকে, তাহলে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ হাজার ২২৫ জন। তাঁদের প্রত্যেকের মাথা পিছু ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হত। অর্থাৎ, হিসেব দাঁড়াচ্ছে ৮ কোটি ১১ লক্ষেরও বেশি। এইসব টাকা যেত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তাপস মণ্ডলের মালিকানাধীন ১০টি বি এড কলেজের সন্ধানও পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বি.এড কলেজগুলি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রার্থীদের বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দিত কিনা, চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিনা সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন