শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার মানিক ভট্টাচার্যের ৭.৯৩ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আদালতে জমা করা সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে সেই সম্পত্তির উল্লেখ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।
ইডি আধিকারিকরা বৃহস্পতিবার জানান, মানিক ভট্টাচার্য আইনি জটিলতা এড়ানোর জন্যই তাঁর আত্মীয় ও বন্ধুদের বাধ্য করেছিলেন একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে। আত্মীয় ও বন্ধুদের মিলিয়ে মোট ৬১টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। তাঁরা আরও বলেন, আর্থিক তছরুপের জন্য মানিক ভট্টাচার্য স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও মৃত্যুঞ্জয় চ্যাটার্জী যিনি ২০১৬ সালে মারা গেছেন তাদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন। যার প্রমাণ ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে।
ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৪৯.৮০ কোটি টাকা নগদ এবং ৫.০৮ কোটি টাকা মূল্যের সোনা ও বিভিন্ন গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ৪৮.২২ কোটি মূল্যের অস্থায়ী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সবমিলিয়ে আপাতত ১১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার, নগর দায়রা আদালতে মোট ১৬০ পাতার চার্জশিট ও তার সমর্থনে ৬০০০ পাতার নথি জমা দেন ইডি কর্তারা। ইডি সূত্রে খবর, চার্জশিটে কলেজের অনুমোদন পাইয়ে দেওয়া সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যও আছে। মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিএড এবং ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চার্জশিটে।
ইডির দাবি, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই চলত এই কারবার। মৃত বা সম্পূর্ণ অচেনা, অজানা ব্যক্তিদের নাম, নথিপত্র দিয়ে খোলা হয়েছিল জয়েন্ট অ্যাকাউন্টগুলি। মূলত প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের টাকা রাখা হত সেখানে। কোটি কোটি টাকার লেনদেন চলত সেখান থেকে।
উল্লেখ্য, তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ১০ নভেম্বর আর্থিক তছরুপ ও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে ইডি। এখনও জেলেই আছেন তিনি।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন