মানিক ভট্টাচার্যের আবেদনে সাড়া দিল না সুপ্রিমকোর্ট। ফলে এখন ইডি হেফাজতেই কাটাতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ককে। তবে দেশের শীর্ষ আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে। আগামী শুক্রবার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। এই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে যান তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবী মুকুল রোহতগী। তাতে মূলত ধাক্কাই খেলেন তিনি। মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী দ্রুত শুনানির আবেদন করেন। তা খারিজ করে দেয় বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে গতকালের পর আজকেও (প্রতিবেদন লেখার সময়) প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রে খবর, জেরার মানিকবাবু সহযোগিতা করছেন না। অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়াও ইডি ব্যাঙ্কশাল আদালতে দাবি করে মানিক ভট্টাচার্যের আমলে প্রায় ৬০ হাজার নিয়োগ হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুর্নীতির পরিমাণ প্রচুর তা অনুমান করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। টাকার বিনিময়ে সমস্ত চাকরি হয়েছে।
শুধুমাত্র অবৈধ নিয়োগই নয়, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠছে মানিকবাবুর বিরুদ্ধে। ইডি আধিকারিকদের দাবি, ঘুষের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা একাধিক প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছে দিতেন পলাশী পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর মোবাইল থেকেও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেও মিলেছে একাধিক গরমিল। সেখানে আর.কে ও ডি.ডি নামে দুই ব্যক্তির সাথে নিয়োগ সংক্রান্ত কথোপকথন হয়। এই দুই ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে ইডি। মহিষবাথানের একটি অফিসের সন্ধানও পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। মনে করা হচ্ছে ওই অফিসে বসেও নিয়োগ দুর্নীতি চালানো হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন