বুধবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছে বিজেপি। সকাল থেকে বনধের সমর্থনে পথে নেমেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। লকেট চট্টোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে রূপা গাঙ্গুলি, সজল ঘোষ সহ একাধিক নেতৃত্বকে বনধ পালন ঘিরে গণ্ডগোলের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ভাটপাড়ায় গুলি চলার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
মঙ্গলবার ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযানে 'পুলিশি অত্যাচারে'র প্রতিবাদে ১২ ঘন্টা বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বনধের সমর্থনে সকাল থেকে পথে নেমে যান বাহন বন্ধ রাখার, দোকান বন্ধ করার আবেদন জানাচ্ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রেললাইনে গাছ ফেলে ট্রেন অবরোধের চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। শ্যামবাজার, গড়িয়াহাট, ভাটপাড়া, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, বাগুইআটি, দেগঙ্গা, নন্দীগ্রাম, তমলুক, বীরভূম, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় বনধের সমর্থনে পথে নেমেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
শ্যামবাজারে বনধের সমর্থনে পথে নেমেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা। পুলিশের সাথেও ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এরপর বাসে করে লকেটকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। গড়িয়াহাটেও একই চিত্র দেখা যায়। সেখানে বনধ পালন করতে নেমেছিলেন রূপা গাঙ্গুলি। তাঁকে ঘিরেও চলে 'গো-ব্যাক' স্লোগান। পুলিশ রূপা গাঙ্গুলিকেও আটক করে। একই স্থান থেকে আরেক বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকেও আটক করে পুলিশ।
অন্যদিকে কোলে মার্কেটে দোকান ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার আর্জি জানান বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ জোর করে দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন তিনি। ব্যবসায়ীদের সাথে ব্যাপক বচসা হয় সজলের। সেখান থেকে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ। পরে নিজের বাড়ি থেকে বিজেপি নেতাকে আটক করে পুলিশ।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভে উইপ্রো মোড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বনধের সমর্থনে রাস্তা অবরোধ করছিলেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। সেখান থেকে বিজেপি নেতাকে আটক করে বিধাননগর সিটি পুলিশ।
পাশাপাশি ভাটপাড়াতেও বনধ পালন করছিলেন বিজেপি কর্মীরা। আচমকাই বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর গাড়ির চালকের কান ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে যায়। প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অর্জুন সিং-র অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এই ঘটনার সাথে যুক্ত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন