এগানো হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচি। বেলা ১২ টার জায়গায় এগিয়ে আনা হয়েছে সকাল ৯.৪৫-এ। পরীক্ষা শুরুর একঘন্টা আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এর ফলে সমস্যায় পড়বেন পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। তাই এই নতুন সূচি প্রত্যাহারের দাবিতে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি (এবিটিএ)-র তরফ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। এই একই দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি।
এবিটিএ-র সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইনের মতে, ‘‘পার্বত্য, তরাই, ডুয়ার্স, দক্ষিণবঙ্গ, জঙ্গলমহলের জেলাগুলির প্রত্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধায় পড়বেন অনেকে। পরীক্ষা কেন্দ্র অনেকেরই বাড়ি থেকে দূরে। ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা। সকালের কুয়াশায় ট্রেন বাতিলও হয়। এগোতে হলে সকাল ১০টা ৪৫ থেকে করা হোক।’’
এবিষয়ে কাঞ্চন নায়েক নামের এক অভিভাবক পিপলস রিপোর্টারের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, “যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের পরীক্ষার্থী, তাদের বাড়ি থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র অনেকটাই দূরে। সেখানে ওই সময়ের মধ্যে পৌঁছানো অসম্ভব। সেটাই আসল কারণ। এটা মহারাণির ফতেয়া চলছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরীক্ষাকেন্দ্রের দূরত্ব পরীক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কিমি। তারা কীভাবে পৌছাবে, সেটা নিয়েই চিন্তা।“
গৌতম দেব নামের আর এক ব্যক্তিও সময় পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পিপলস রিপোর্টারের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, “ছেলেমেয়েগুলোর ভবিষ্যৎ ওই ৯০০-১০০০ জন যে চাকরিপ্রার্থী রাস্তায় বসে আছেন, তাঁদের থেকেও খারাপ হবে। চাকরীর কোনো ব্যাপার নেই, কলকারখানাও সব বন্ধ। ব্যাঙ্গালোরে গিয়েও জায়গা পাবে না। গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি নিয়ে আসাম, বিহারে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে হবে। নেতারা পরিকল্পনা করে ছাত্রেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। ওরা চাইছেন পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে। কিছুদিন আগেই একজন শিক্ষককে দেখেছি পরের দিন মাটি কাটতে। হয় টাকা দিয়ে ঢুকেছেন নাহলে কোনো নেতার আত্মীয় হবেন উনি।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন