বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি (MLA Naushad Siddique)-র নিঃশর্ত মুক্তির (Release) দাবিতে আবার উত্তাল রাজপথ। মঙ্গলবার, জোট বেঁধে রামলীলা পার্ক থেকে ধর্মতলায় রানি রাসমনি রোড পর্যন্ত মিছিল করে বাম, আইএসএফ (ISF)-সহ ১৮টি সংগঠন। এই মিছিলে পা মেলান- বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআই(এম) সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, DYFI-নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ আইএসএফের নেতা–কর্মীরা।
গত ২১ জানুয়ারি, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (ISF)-র প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় জমায়েত করেছিল দলের কর্মী–সমর্থকরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকিও। সেই জমায়েতে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে ISF কর্মী–সমর্থকদের। এদিন, বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি-সহ ৫০ জন দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজকের মিছিল থেকে মূল দাবি দুটো তোলা হয়। এক, ধৃতদের অবিলম্বে মুক্ত দিতে হবে। দুই, যে পুলিশ এই ঘটনা ঘটাল, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মঙ্গলবার, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, 'বাংলার বিধানসভায় বাম্ফ্রন্ট্রের সমর্থনপুষ্ট আইএসএফ-র বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। তাঁকে যেভাবে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে, এক থানা থেকে আরেক থানায় নিয়ে গিয়ে কেস সাজানোর চেষ্টা চলছে- আমরা তাঁর তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা নওসাদ সিদ্দিকির নিঃশর্ত মুক্তি চাই। এবং তাঁকে ঘিরে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তাঁদের শাস্তি চাই।'
মিছিলে CPIM-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'নওসাদ সিদ্দিকিকে টাকার টোপ দিয়ে এরা কিনতে চেয়েছিল। যখন পারেনি, তখনই পুলিশ হেফাজত চাইছে। যাতে ব্রেনওয়াশ করতে পারে। বিরোধী পক্ষের একমাত্র বিধায়ক উনি। ওরা তাঁকে ভয় পাচ্ছে। কারণ ওরা বিরোধী কণ্ঠস্বর ভয় পায়।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন