আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার গণ ইস্তফা দিচ্ছেন আরজি করের সিনিয়র চিকিৎসকরা। রাজ্য সরকারের সদর্থক কোনও ভূমিকা দেখতে না পাওয়ায় গণ ইস্তফার পথে হাঁটলেন তাঁরা।
আরজি কর কাণ্ডের ন্যায়বিচার, নিরাপত্তা সহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার রাত থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন ৭ জুনিয়র চিকিৎসক। তাঁদের সাথে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলেই দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। এবার জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিলেন আরজি করের সিনিয়র চিকিৎসকরা।
আজ দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পর আরজি করের সিনিয়র চিকিৎসক এবং বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা গণ ইস্তফার পথ বেছে নিলেন। জানা যাচ্ছে প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক ইস্তফা দিয়েছেন। সিনিয়র চিকিৎসকরা জানান, জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগদান করেছে। কিন্তু তাদের ১০টি দাবি এখনও পূরণ হয়নি। এর মধ্যে অনেক দাবিই আছে যেগুলি খুব দ্রুত সমাধান সম্ভব। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।
তাঁরা আরও জানান, 'আমরা গণ ইস্তফা দিলাম মানে এটা নয় যে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাব বা কাজ বন্ধ করে দেব। সরকারি বা বেসরকারি সব জায়গাতেই ইস্তফা কর্তৃপক্ষ দ্বারা গৃহীত হয়। এটা আমাদের প্রতিবাদ জানানোর ভাষা। মানবিকতার স্বার্থে মানুষকে আমরা সাহায্য করব'।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে একটি কনভেনশনে আগেই চিকিৎসকরা গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, সরকার যদি কোনও পদক্ষেপ না নেয় তাহলে গণ ইস্তফা দেব আমরা। এই গণ ইস্তফার কারণে পুজোর মধ্যে সমস্যায় পড়তে পারেন রোগীরা।
সোমবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, 'আমরা সবাইকে কাজে ফিরতে অনুরোধ করছি। অনেকে ইতিমধ্যেই কাজে ফিরেছেন। বাকিদেরকেও বলব ফিরুন। মানুষকে পরিষেবা দিন। আমরা সকলে মিলে হাসপাতালের পরিবেশের উন্নতির চেষ্টা করছি'।
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করতে অনড় রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রশাসনের তরফ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের মেইল করে জানানো হয়ে ওই পথে অনেক বড় বড় পুজো হয়। প্রচুর দর্শনার্থী আসবেন। সেই কারণে মিছিল করা যাবে না ওই রুটে। কিন্তু তাতে সম্মতি নেই চিকিৎসকদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন