মোমিনপুরকাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষের কড়া জবাব দিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘চোর’ বলেও আক্রমণ করেন মহম্মদ সেলিম। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি বেশ সরগরম।
মোমিনপুরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবেই হিংসা ছড়ানো হচ্ছে বলেই মনে করেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক। এছাড়াও তিনি বলেন, দেশে যাঁরা ধর্মের রাজনীতি করে তাঁরা সামনে হিন্দু ও মুসলমানদের রেখে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছেন। এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াও দেন সেলিমবাবু। তিনি বলেন, শুভেন্দু 'ইনসাফ'কে ভয় পাচ্ছে।
ইনসাফকে এত ভয় কিসের? যারা দুর্নীতি করে, যারা অপরাধী তারাই ইনসাফকে ভয় পায়। সব চোরের জ্বালা ধরেছে। তৃণমূল থেকে যে চোরটা বিজেপিতে গেছে তারও জ্বালা ধরেছে। শুভেন্দুর মতো লোকরা ‘ডবল চোর’। আগে তৃণমূলের হয়ে চুরি করত এখন বিজেপির হয়ে চুরি করছে। তাইতো সিপিআইএম চোর ধরো, জেল ভরো বললেই শুভেন্দু নিজের মুখটা আয়নায় দেখতে পায়।
বিজেপির নেতার উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ইনসাফ শুধু মোমিনপুরে কেন গোটা দেশে যেখানেই অপরাধ হবে সেখানেই ইনসাফ হবে। কিন্তু শুভেন্দুর কাজ দেখে মনে হচ্ছে বিজেপিতে থেকে তৃণমূলের কাজ করছে।
উল্লেখ্য, মোমিনপুরের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, সেলিমবাবু সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে? এবার কোনো ইনসাফ সভা হবে না? তাছাড়া রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী হঠাৎ কেনই বা 'ইনসাফ' সভার কথা উল্লেখ করলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান করা যায় - ধর্মতলায় বামেদের 'ইনসাফ সভা'কে উল্লেখ করেই তিনি কটাক্ষ করেছেন।
প্রসঙ্গত, মোমিনপুরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে সোমবার। সূত্রের খবর, ইট, বোতল প্রভৃতি ছোঁড়াছুঁড়িও হয় দুই দলের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন