বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর থেকে বেরিয়ে জানিয়েছিলেন, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি দিলে সেই চিঠি লোকসভা স্পিকারের কাছে জমা দেবেন।
মিমি বলেছিলেন - 'অনেকে বলছিলেন, আমি পরবর্তী টিকিট পাকা করার জন্য এটা করছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়।' রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন - 'আমি জেনে জীবনে কারও কোনও ক্ষতি করিনি। আমি রাজনীতিক নই। কখনও রাজনীতিক হবও না।'
২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অন্য সুর মিমির গলায়। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে পোষ্ট করে মিমি লেখেন, ‘‘আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ে থেকে যাব।’’ পাশাপাশি, নিজের সাংসদ খাতের টাকা কোথায়, কত পরিমাণ খরচ করেছেন, তার হিসাবও দেন তিনি।
শুক্রবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে মিমি লেখেন, ‘‘বিগত পাঁচ বছর আমি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সাংসদ হিসাবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছি। মানুষের করের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। সৎপথে মাথা উঁচু করে এগিয়েছি। সেই সফরের কথা মনে করে আমার মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই বিগত পাঁচ বছরের সাংসদ রূপে আমার যাবতীয় কাজের খতিয়ান জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।’’
পোষ্টে পাশাপাশি নিজের সাংসদের টাকা কোথায়, কত খরচ হয়েছে তার একটি পরিসংখ্যানও দেন অভিনেত্রী সাংসদ। মিমির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে বারুইপুর পশ্চিমে ১,৩৫,১৫,৯৮৯ টাকা, বারুইপুর পূর্বে ২,০২,২০,৫৫৬ টাকা, ভাঙড়ে ২,৯৫,৩১,০৩১ টাকা, যাদবপুরে ১,২৫,০৯,৯১২ টাকা, টালিগঞ্জে ৪২,৫৮,৪৫০ টাকা, উত্তর সোনারপুরে ৩,৯৬,২০,৬৪৬ টাকা এবং দক্ষিণ সোনারপুরে ৫,০৯,৪৬,০৩৭ টাকা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন