সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দিলেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে একথা নিজেই জানান অভিনেত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রী এখনও ইস্তফা গ্রহণ করেননি বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় যখন মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখছিলেন, সেই সময় তাঁর ঘরে পৌঁছান তিনি। মিমি যাওয়ার কিছু পরে ওই ঘরে ঢোকেন শাসকদলের দুই বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী ও জুন মালিয়া। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বক্তৃতা শেষে নিজের ঘরে প্রবেশ করলে চারজনে মিলে বেশ কিছুসময় বৈঠক করেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর ঘর থেকে বেরিয়ে মিমি জানান তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
মিমি বলেন, ‘‘আমার যা বলার ছিল, দিদিকে বলেছি। অনেকে বলছিলেন, আমি পরবর্তী টিকিট পাকা করার জন্য এটা করছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়।’’
অভিনেত্রী বলেন, ‘‘রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকজন। মিমি চক্রবর্তী যদি খারাপ কিছু করত, সবার আগে শিরোনামে উঠে আসত। আমি জেনে জীবনে কারও কোনও ক্ষতি করিনি। আমি রাজনীতিক নই। কখনও রাজনীতিক হবও না। সবসময় আমি মানুষের জন্য কর্মী হিসাবে কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনও খারাপ কথা বলিনি।’’
মিমির কথায়, ‘‘আমি লোকসভায় কত দিন উপস্থিত থেকেছি, কিছু লোকের তাই নিয়ে মাথাব্যথা। আমি যদি এক মাস দিল্লিতে থাকি, লোকে বলবে সাংসদ দিল্লিতে থাকেন, এখানে কাজ করেন না। আবার এখানে থাকলে বলা হয় সংসদে উপস্থিতি কম। আমাদের সব দিক ভারসাম্য রেখে চলতে হয়। আমি মানুষকে পরিষেবা দিয়েছি। কোমর অবধি জলে নেমে ত্রাণ দিয়েছি। আমফানে পাশে দাঁড়িয়েছি। কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। নিজের ফান্ড থেকে অনেক কাজ করেছি। এগুলোর প্রচার করিনি। এটাও অন্যতম কারণ রাজনীতি ছাড়ার। আমি রাজনীতি বুঝি না।’’
উল্লেখ্য, মিমি চক্রবর্তী যে আসন্ন লোকসভাতে দাঁড়াবেন না, এই নিয়ে সম্প্রতি জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সংসদের শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক এবং নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রকের যৌথ কমিটির সদস্যও। এই তিনটি পদ থেকেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন কিছুদিন আগে।
এরপর জানা গেছে, যাদবপুর লোকসভার অধীন নলমুড়ি এবং জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদও মিমি ছেড়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন, আর সাংসদ থাকতেই চান না তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন