ট্রেনেই কার্যত উধাও হয়ে গেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী এবং তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার জন্য গতকাল রাতেই পদাতিক এক্সপ্রেসে করে রওনা দিয়েছিলেন সকন্যা মন্ত্রী। সেই ট্রেন আজ সকালে শিয়ালদহে পৌঁছালে তা থেকে মন্ত্রী বা তাঁর মেয়ে কাউকে নামতে দেখা যায়নি। এই ঘটনায় নতুন করে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
গতকাল একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলার শুনানি চলাকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর শিক্ষিকা হওয়ার বিষয়টি ওঠে। জালিয়াতির মাধ্যমে মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন পরেশ অধিকারী, দাবি করেন এক মামলাকারী। তৎক্ষণাৎ ভার্চুয়াল মাধ্যমে এসএসসির চেয়ারম্যানের কাছে এর জবাব চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১০ মিনিট সময় চেয়েও এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি চেয়ারম্যান। এরপরই অঙ্কিতার চাকরির ক্ষেত্রে জালিয়াতি হয়েছে সংশয় প্রকাশ করে তার তদন্তের ভার সিবিআইকে দেয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। গতকালই রাত আটটার মধ্যেই পরেশ অধিকারীকে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
কিন্তু রাত আটটার মধ্যে হাজিরা দেওয়ার পরিবর্তে রাতে কোচবিহার থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মন্ত্রী। সাথে ছিলেন মেয়ে। সেই ট্রেন আজ সকালে শিয়ালদহে স্টেশনে ঢুকলে ট্রেন থেকে নামতে দেখা যায়নি মন্ত্রী বা তাঁর কন্যাকে। অথচ রেলসূত্রে খবর ওই ট্রেনের এইচ ১ কামরায় ছিলেন মন্ত্রী এবং তাঁর কন্যা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কোথায় গেলেন মন্ত্রী? হাজিরা এড়াতে তিনি কি মাঝরাতে অন্য কোনো স্টেশনে নেমে গিয়েছেন? গন্তব্য পরিবর্তন করলেন? সড়কপথে কলকাতায় আসছেন? নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে মন্ত্রীর? হাজিরা না দিয়ে তিনি কি ডিভিশন বেঞ্চে যাবেন?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন