আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ৮৫ হাজার টাকা প্রত্যাখান করল কলকাতার আরও এক পুজো কমিটি। যাদবপুর সন্তোষপুরের মহিলা মজলিশ রাজ্য সরকারের দেওয়া ৮৫ হাজার টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর জি কর আবহে ক্রমশ বাড়ছে অনুদান প্রত্যাখানের তালিকা।
যাদবপুর সন্তোষপুরের ক্লাবটি মহিলা পরিচালিত। সোমবার অনুদান প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে ওই পুজো কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণা গুহ এক সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “আরজি কর হাসপাতালে যুবতী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই আমাদের কারও মন ভাল নেই। সঙ্গে রাজ্যের যা অবস্থা তাতে বড় করে পুজো করার মতো মানসিক অবস্থাও আমাদের নেই। মণ্ডপসজ্জা, আলো-সহ প্রতিমার বায়না হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। তা তো আর ফেরানো যাবে না। তাই এ বছর আড়ম্বরহীন ভাবেই আমরা মা দুর্গার পুজো করব।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের পুজোয় এ বার সে ভাবে জাঁকজমক হচ্ছে না। যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এমনটা করা হচ্ছে। তাই সকলে আমরা সরকারি অর্থ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
উল্লেখ্য, শনিবার সরকারি অনুদান প্রত্যাখান করেছে দক্ষিণ কলকাতার আরও একটি পুজো কমিটি। বেহালার অক্ষয় পাল রোডের মধ্যপাড়া আবাহনী ক্লাব রাজ্য সরকারের ৮৫ হাজার টাকা প্রত্যাখান করেছে। ওই ক্লাবের পুজো এবার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পড়েছে। কিন্তু সুবর্ণ জয়ন্তীর পুজোয় থাকছে না কোনও জাঁকজমক। অভয়া বিচার পেলে আগামী বছর ফের উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে, রবিবারই পানিহাটি সোদপুর এলাকার বোধিকানন ক্লাব পুজো কমিটিও দুর্গার ভান্ডারের ৮৫ হাজার টাকা অনুদান না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
এছাড়া পুজোয় অনুদান না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে নেতাজিনগর বাস্তুহারা সমিতি। অনুদান না নেওয়ার তালিকায় রয়েছে বেহালার সবেদা বাগান ক্লাবও। এছাড়া পুজোর অনুদান প্রত্যাখান করেছে - উত্তরপাড়ার বৌঠান সঙ্ঘ, উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ, আপনাদের দুর্গাপুজো, কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, তারকেশ্বরের আর এক ক্লাব, জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর সন্ন্যাসীতলা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি এবং কলকাতার মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব। পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকটি ক্লাবও রয়েছে এই তালিকায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন