২০১৩ সালে শেষ পুরভোট হয়েছিল হাওড়া পুরসভায়৷ সেই ভোটে ৫০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৩টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। আট বছর পর ফের রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে হাওড়া পুরসভার ভোট নিয়ে। অনেকে ভোট না হওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। অনেকে আবার চাইছেন নির্বাচন হোক সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই৷
২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়। সেখানে বালির ৩৫টি ওয়ার্ডকে ১৬টি ওয়ার্ড করে নির্বাচন করা হয়৷ বালির সংযুক্তিতে হাওড়া পুরসভার আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরনিগম থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে বলে জানায় রাজ্য৷ কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট করতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আবেদন জানায়। কমিশন সম্মতি দেয়। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ার ভোটের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। যদিও হাওড়া পুরসভার মাত্র ৫০টি ওয়ার্ডে ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের আপত্তি তা নিয়েই।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে বিজেপিও। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। নিয়ম মেনে ভোট না হলে বামেরাও আদালতের যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে৷ তাদের প্রশ্ন, বিধানসভায় বিল পাশ না করিয়ে কীভাবে বালিকে হাওড়া পুরসভা থেকে আলাদা করা হচ্ছে।
বিরোধীদের বক্তব্য, জোর করেই ২০১৫ সালে বালিকে হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছিলো। আবার জোর করেই বালিকে আলাদা করা হচ্ছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, ৫০টি ওয়ার্ড নিয়ে ভোট করলে বিজ্ঞপ্তি জারির সময় কেন তা জানানো হবে না? নতুন নোটিস জারি করে নির্বাচন করতে সময় লাগে। কিন্তু সেই সময় এখন নেই। ফলে হাওড়ার পুর ভোট আগামী ১৯ ডিসেম্বর আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন