সোমবারই রাজ্যের চারটি পুরনিগমের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু বাকি রয়ে গিয়েছে হাওড়া পুরনিগম। কেন বাদ রইল? এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে দ্রুত শুনানির আরজি জানানো হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল, ২০২২ সালের মে মাসের মধ্যে বাকি পুরসভাগুলিতে ভোট করতে চায় তারা। কোভিড পরিস্থিতিতে ৬- ৮ দফায় ভোট হবে। সোমবার রাজ্যের চারটি পুরনিগমের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও তালিকায় নেই হাওড়া।
ওইদিন রাতেই বামফ্রন্টের তরফে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় হাইকোর্টের বিচারপতিকে মেল করে জানান, রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন হাওড়া নিয়ে জটিলতা কেটে গিয়েছে। ফলে একইসঙ্গে পাঁচ পুরনিগমের ভোট করা যেতে পারে। কিন্তু কমিশন জানিয়েছে ২২ জানুয়ারি চারটি পুরনিগমের ভোট হবে। যেখানে রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে পাঁচ পুরনিগমের ভোট একদিনে হওয়ার কথা জানিয়েছিল, সেখানে কেন বাদ পড়ল হাওড়া?অতি দ্রুত যাতে এই মামলার শুনানি হয়, ইমেইলে সেই আরজিও জানিয়েছেন সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানান, জানুয়ারির ২২ তারিখ ভোট হবে রাজ্যের চারটি পুরনিগম - বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে। গণনা ২৫ জানুয়ারি। ২৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ আজ থেকে মনোনয়ন পেশ প্রক্রিয়া শুরু। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩ জানুয়ারি। গতকাল থেকেই রাজ্যে জারি হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি।
এদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন শাসকদলের স্বার্থরক্ষার জন্য কৌশলে পুরনির্বাচন করাতে চাইছে বলে অভিযোগ বামেদের। এর প্রতিবাদে আগামী কাল দুপুর দু'টো থেকে কমিশনের দফতরের সামনে থেকে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন