শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। বিরোধীদের লাগাতার নিশানায় জেরবার রাজ্যের শাসক দল। এরই মধ্যে ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি যেন বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি দিল। যার জেরে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।
২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল সোমবার থেকে। প্রথম দিনেই পরীক্ষা শুরু হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ডিএলএড কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয় বেলা ১২ টা নাগাদ। পরীক্ষা চলে দুপুর ২ টো পর্যন্ত।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, সোমবার সকাল ১০ টা ৪৭ নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ে ডিএলএড ফাইনালের প্রশ্নপত্র। পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রশ্নপত্র এবং হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দুটোই এক বলে দাবি তাঁদের। যদিও এই দাবির সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
অন্যদিকে, সোমবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পর্ষদের পক্ষ থেকে জরুরি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা আছে -
১) সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সকাল ১১:১৫ মিনিটের আগে কোনওভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে দেওয়া হবে না।
২) এটা নিশ্চিত করতে হবে, সিল অবস্থাতেই পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি থানা বা কাস্টোডিয়াম থেকে প্রশ্নপত্র নেবে।
৩) পরীক্ষা যাতে স্বচ্ছভাবে এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনে জেলাগুলিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
৪) কোনওরকম গাফিলতি ধরা পড়লে, তার সাথে যুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের কথায় - এই অভিযোগকে হালকাভাবে দেখছে না পর্ষদ। তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, সিআইডি তদন্তের বিষয়ে পর্ষদ অবগত নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি। প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে তদন্তের জন্য সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন