সন্দেশখালি যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। সন্দেশখালি থেকে ৬২ কিমি দূরে সায়েন্স সিটির কাছ থেকে গ্রেফতার করা হল তাঁকে।
মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাওয়ার কর্মসূচি ছিল আইএসএফ বিধায়কের। সেইমতো মঙ্গলবার সকালে তিনি ও তাঁর সহকর্মী সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু সায়েন্স সিটির কাছে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। নওশাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় পুলিশের। বচসা চরম পর্যায়ে পৌঁছালে গ্রেফতার করা হয় বিধায়ককে।
পুলিশের তরফ থেকে প্রথমে যুক্তি দেওয়া হয় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করছেন নওশাদ। কিন্তু সন্দেশখালি থেকে ৬২ কিমি দূরে কিভাবে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করা হয় এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক। এরপর পুলিশ জানায় সিআরপিসি-র ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে নওশাদকে। নওশাদের সাথে তাঁর এক সহকর্মী এবং তাঁর সিকিউরিটি ছিলেন কেবল। আর কেউ ছিল না।
গ্রেফতারের পর লালবাজারে নিয়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সামনে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “কোন গ্রাউন্ডে গ্রেফতার করা হল জানানো হয়নি। মন্ত্রীরা ঘুরছেন, তাতে অসুবিধা নেই। তৃণমূলের নেতারা যাচ্ছেন অসুবিধা হচ্ছে না। আমি গেলেই সমস্যা! আর ১৪৪-এর কোনও নোটিসও দেখাতে পারেনি এরা। আজ আমার দু’টো কর্মসূচি আছে। একটা সন্দেশখালিতে যাওয়া, আরেকটা বাসন্তীতে। বাসন্তীতেও আমাকে যেতে দিচ্ছে না। কীসের এত তৎপরতা?”
দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার পীযূশ কুণ্ডুর কাছে সংবাদমাধ্যম নওশাদ-গ্রেফতারির কারণ জানতে চাইলে, কোনও উত্তর দেননি তিনি।
এই প্রসঙ্গে সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, পুলিশের রাজ চলছে রাজ্যে। আইনের শাসন নেই। নওশাদ একজন বিধায়ক। সন্দেশখালি থেকে ৬২ কিমি দূরে তাঁকে গ্রেফতার করা হল? কলকাতা পুলিশের এলকায়, ১৪৪ ধারা নেই যেখানে সেখানে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হল কিভাবে? এমন যুক্তি তো পাগল ছাড়া কেউ দেখাবে না। হয়তো পাগলেরাও এমন কথা বলবে না।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন