হাইকোর্টে স্বস্তি কংগ্রেস মুখপাত্র তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীর। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে করা এফআইআর-র তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল আদালত। আগামী চার সপ্তাহ এই নির্দেশ বহাল থাকবে।
মমতা ব্যানার্জিকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যের জেরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কৌস্তুভ বাগচী। বড়তলা থানায় দায়ের হয়েছিল এফআইআর। সেই এফআইআর-র বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, এই ধরণের গ্রেফতারির অর্থ হচ্ছে নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন করা। আগামী চার সপ্তাহ পর্যন্ত কৌস্তুভ বাগচীর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশের কাছে গোটা বিষয়ের রিপোর্টও তলব করেছেন বিচারপতি মান্থা।
৩ মার্চ ভোররাতে বড়তলা থানার পুলিশ কংগ্রেস নেতার বাড়িতে যায় এবং তল্লাশি শুরু করে। তখন পুলিশের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস মুখপাত্র। তল্লাশি চালানোর পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বড়তলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস নেতাকে অশান্তি সৃষ্টি ও হুমকি দেওয়ার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যার পাল্টা হিসেবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন কৌস্তুভ বাগচীক। সেই সাংবাদিক সম্মেলনের জেরেই কংগ্রেস মুখপাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন।
ওই দিনই কৌস্তুভ বাগচীকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ একাধিক আইনজীবী। আদালত এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন