মুখে কথা নয়, এবার হাতে নিয়োগের কাগজ চাই - চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চ থেকে মমতাকে খোঁচা সুজনের

মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জালিয়াত। ভাষণ দিচ্ছ দাও, কিন্তু বাগ কমিটির রিপোর্টের পর হাতে হাতে নিয়োগের কাগজ দেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। - সুজন চক্রবর্তী
মমতা ব্যানার্জীকে কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর
মমতা ব্যানার্জীকে কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীরগ্রাফিক্স - নিজস্ব
Published on

বৃহস্পতিবার এসএসসি, টেট, এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চের ৫৫০ দিনে উপস্থিত হলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। ধর্না মঞ্চ থেকে চাকরিপ্রার্থী পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আরও একবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। এর আগেও তাঁকে বেশ কয়েকবার সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।

তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে সুজন বলেন, কয়েক লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। অনেক মুখে মুখে কথা হয়েছে। এবার হাতে হাতে নিয়োগের কাগজ চাই। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জালিয়াত। ভাষণ দিচ্ছ দাও, কিন্তু বাগ কমিটির রিপোর্টের পর হাতে হাতে নিয়োগের কাগজ দেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। চাকরিপ্রার্থীদের এই লড়াইকে আমি কুর্নিশ জানাই। এই লড়াই একত্রে চলতে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী গত ১২ সেপ্টেম্বর নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যুবকদের ডেকেছিলেন চাকরির অফার লেটার দেবেন বলে। কিন্তু সেদিন তিনি অফার লেটার দেননি। তবে সেই জায়গায় অনেকেই ১৩ তারিখ অফার লেটার পেয়েছে। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, যাদের ১১ হাজার চাকরির অফার দিয়েছেন বলে আপনি ঘোষণা করেছেন, হিম্মত থাকলে তাঁদের নাম, ধাম, কাজ, ইএসআই, পিএফ, বেতনের তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুন।

প্রসঙ্গত, চাকরি দেওয়ার নামে প্রার্থীদের হাতে ভুয়ো অফার লেটার তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার হুগলির নোডাল অফিসে প্রায় ৩ হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগপত্র এসে পৌঁছায়। সারারাত ধরে সেগুলি বিলি করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ সেগুলি সবকটিই ভুয়ো।

সম্প্রতি, 'উৎকর্ষ বাংলা' প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা বিভাগ থেকে তরুণদের প্রশিক্ষণ ও চাকরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী গত ১২ সেপ্টেম্বর নেতাজী ইণ্ডোর স্টেডিয়ামে ১০ হাজার অফার লেটার দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী।

সূত্রের খবর, এর মধ্যে হুগলী জেলার ১০৭ জনকে ফোন করে হুগলী এইচআইটি কলেজ থেকে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করার কথা জানানো হয়। গত মঙ্গলবার প্রত্যেকের ফোনে একটি পিডিএফ পাঠানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, নিয়োগপত্রে দেওয়া নম্বরে ফোন করে কোনও লাভ হয়নি।

মমতা ব্যানার্জীকে কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর
চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in