পোস্টার লাগিয়ে বিজেপি নেতাদের তৃণমূলে ফেরার বিরোধিতা জেলা ছাড়িয়ে এবার খোদ কলকাতার বুকে। মঙ্গলবার সব্যসাচী দত্তের নাম না করে হোর্ডিং লাগানো হলো সল্টলেক এর ৪ নম্বর আইল্যান্ডে। আখ্যা দেওয়া হলো মীরজাফরের। যদিও ওই পোস্টারের কোথাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সব্যসাচী দত্তের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
সল্টলেক অঞ্চলে লাগানো ওই পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে যে, "বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোংরা ভাষা প্রয়োগ করে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা ও বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রে মানুষের দ্বারা পরাজিত প্রত্যাখ্যাত এবং প্রমাণিত গদ্দার তথা প্রকৃত মীরজাফরের তৃণমূলে কোন স্থান নেই।" সৌজন্যে উল্লেখ করা হয়েছে বিধান নগর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বৃন্দ।
যদিও এই পোস্টারের কোথাও সব্যসাচী দত্তের নাম উল্লেখ করা হয়নি তবু এই হোর্ডিংকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সল্টলেকে। স্থানীয়রাও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
উল্লেখ্য, সব্যসাচী দত্ত গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাই নাম না উল্লেখ করা হলেও সব্যসাচী দত্তকেই মীরজাফর ও প্রমাণিত গদ্দার বলা হয়েছে ওই হোর্ডিং-এ বলে স্থানীয়দের অভিমত। যদিও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সব্যসাচী দত্ত।
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পরেই একদা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন একাধিক দলত্যাগী তৃণমূল নেতা ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে ইচ্ছুক। যদিও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের নামে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। এর আগে পোস্টার পড়েছে বর্তমানে বিজেপিতে থাকা প্রবীর ঘোষাল, সুনীল সিং-এর নামে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন