সোমবার কলকাতায় সংহতি মিছিল করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা এই সংহতির মিছিল উপলক্ষ্যে আরও ৩৫ টি মিছিল হবে কলকাতায়। শহরের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এমনটা জানিয়েছেন পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা।
ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, শহরে মোট ৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এবং এই মিছিলের জন্য যাতে মানুষেরা সমস্যায় না পড়েন, তার জন্য কলকাতার বেশ কিছু ট্রাফিক বিচ্যুতি করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত সমাবেশগুলি ভবানীপুর, ক্যামাক স্ট্রিট, শিয়ালদহ, গারফা, পাটুলি, শকুন্তলা পার্ক এবং বন্দর এলাকাগুলির মধ্য দিয়ে যাবে, অফিসার জানিয়েছেন।
ওই অফিসার রবিবার এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, "সাধারণত, সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়ায় আমরা সোমবার অফিসগামীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখতে পাই। আগামীকাল, যেহেতু আমাদের প্রচুর সংখ্যক সমাবেশ আছে, তাই নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে রাস্তায় ৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।“
কলকাতা পুলিশের অধীনে প্রতিটি বিভাগে অতিরিক্ত বাহিনীকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার। অফিসার পিটিআই-কে জানিয়েছেন, "সমস্ত থানাগুলিকে সারাদিন সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত থানাগুলিতে পূজা এবং সমাবেশের সময়সূচি রয়েছে সেগুলিকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।"
আজকের সমস্ত সমাবেশের ভিডিওগ্রাফি করা হবে, এবং পুলিশ সদস্যরা তাদের সাথে থাকবেন যাতে আইনশৃঙ্খলার কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, জানিয়েছেন ওই অফিসার।
তৃণমূলের 'সংহতি মিছিল' আজ দুপুর ৩ টেয় হাজরা ক্রসিং থেকে শুরু হয়ে হাজরা রোড, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ হয়ে পার্ক সার্কাস ময়দানে পৌঁছবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির কারণে সেখানে দুটি স্তরের নিরাপত্তা থাকবে।
যে রাস্তা দিয়ে মিছিলগুলি যাবে তার পাশে অবস্থিত বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুলে হয় ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে বা ভার্চুয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের কোনো অসুবিধা না হয়। সংহতি মিছিলের পথে অন্যান্য স্কুলগুলি আজ ছুটি ঘোষণা করেছে বলেই জানা গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন