আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাকি, তবু এখনও মেলেনি পুলিশি অনুমতি। কিন্তু বাম ছাত্র-যুব সংগঠন SFI-DYFI-র স্পষ্ট দাবি, ২০ সেপ্টেম্বরের ইনসাফ সভা ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই হবে। পুলিশের তরফ থেকে একাধিক সভাস্থলের প্রস্তাব দেওয়া হলেও সেখানে সভা করতে নারাজ তারা।
ছাত্রনেতা আনিস খান সহ সকল শহীদদের ইনসাফ, দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তি, দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ এবং সবার জন্য শিক্ষা ও কাজের দাবিতে আগামীকাল বেলা সাড়ে বারোটায় ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে 'ইনসাফ সভা'র ডাক দিয়েছে বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই।
সোমবার, হাওড়ার আমতার বাসিন্দা আনিস খানের বাড়ি থেকে শুরু হয়েছে মহামিছিল। সেখান থেকে দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে মহানগর অভিমুখে আসবে এই মিছিল। মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী, কলতান দাশগুপ্ত সহ অন্যান্যরা। আগামীকাল ধর্মতলার সমাবেশে এসে মিছিল শেষ হবে।
ইনসাফ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। থাকবেন আনিসের বাবা সালেম খান, ডিওয়াইএফআই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য, মীনাক্ষী মুখার্জী, ময়ূখ বিশ্বাস, এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতিকউর রহমান প্রমূখ।
পুলিশের অনুমতি না দেওয়ার প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম বলেন, মমতা ব্যানার্জি কি নিজেকে রানি ভিক্টোরিয়ার মতো মসনদে বসে আছেন বলে কল্পনা করছেন! কলকাতা পুলিশ কেন অনুমতি দিচ্ছে না? ভিক্টোরিয়া হাউস এখন বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির অফিস মাত্র। মানুষের ওখানে সভা করার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে।
২০ সেপ্টেম্বরের সমাবেশের জন্য ইতিমধ্যেই জেলাগুলিতে একাধিক কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল, মিটিং, প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে ওই দিনের কর্মসূচীতে সমাজের সব স্তরের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাম ছাত্র-যুবরা। আহ্বান জানানো হয়েছে প্রাক্তন ছাত্র-যুবদের। অলিগলি থেকে রাজপথ সর্বত্র পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। সমাবেশের জন্য সর্বত্র চলছে গণ সই সংগ্রহ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামীকালের ইনসাফ সভায় যোগ দেবে সিঙ্গুরের ছাত্র-যুবরাও। কিছুদিন আগেই সিঙ্গুরের মোহমায়া হাইস্কুলের ছাত্ররা স্কুলের বারান্দা থেকে চিৎকার করে বলেছিল - "শিল্প চাই, কাজ চাই"। ২০ তারিখের সমাবেশে যোগদানের প্রসঙ্গে সিঙ্গুরের এক যুবক জানান, কলেজ পাশের পর ঘরে বসে রয়েছি, কোনও কাজ পাইনি। টাটা এখানে কারখানা করলে একটা চাকরি পেতাম, সেটাও হয়নি। আমরা শিল্প চাই, তাই ২০ তারিখ ধর্মতলায় যাব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন