সোমবার বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুরসভার ফল ঘোষণা হয়েছে। চারটিতেই একছত্র আধিপত্য চালিয়েছে তৃণমূল। চার পুরসভার মোট ২২৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯৮টিই তৃণমূলের দখলে। তবে ভোট শতাংশের দিক থেকে দুটি পুরসভায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। চন্দননগরে প্রায় ২৭ শতাংশ এবং বিধাননগরে ১০.৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে তারা। বাকি দুটিতেও দ্বিতীয় স্থান নিয়ে জোর টক্কর হয়েছে বিজেপি ও বামেদের মধ্যে।
ফল ঘোষণার পর সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'পুর নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে।সার্বিকভাবে ফলাফলের ভিত্তিতে যেটা বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল জিতেছে। আর অন্য কেউ জেতারই সুযোগ ছিলনা।কারণ ভোট লুঠ হয়েছে, আক্রমণ হয়েছে, বোমা পড়েছে। এসবের মধ্যেও সবাই মিলে চেষ্টা করেছিল বামেদের দমিয়ে রাখার, তা হয়নি। অনেকে মনে করেছিল একমাত্র বিকল্প বিজেপি। কিন্তু ভোটের ফল বুঝিয়ে দিলো একমাত্র বিকল্প বামেরা। বিধানসভায় বিজেপির ভোট ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ। চার পুরসভা ভোটে তা নেমে হয়েছে ১৫ শতাংশ। শতাংশে সামান্য এদিক-ওদিক হতে পারে। বামপন্থীদের যেটা ছিল ৮ থেকে ৯ শতাংশ, সেটা বেড়ে হয়েছে ১৭ থেকে ১৮ শতাংশে। ট্রেন্ড ইজ ক্লিয়ার। তৃণমূলকে সরাতে যদি কেউ পারে তা বামপন্থীরাই পারে।'
মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দলের কর্মীদের বলেছেন যত জিতবো তত নম্র হতে হবে। কিন্তু তিনি যত জিতছেন তত ঔদ্ধত্য বাড়ছে।
আগামী দিনে কংগ্রেসের সাথে জোট হবে কিনা এবিষয়ে কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত না দিয়ে সিপিআইএম নেতা বলেন, তৃণমূল বিজেপিকে সরাতে অন্য সব দলের একসাথে চলা দরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন