মঙ্গলবার 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ'-এর নবান্ন অভিযান কর্মসূচি। এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বললেও সেটা যে নয়, তা একপ্রকার জানা গেছে। ছাত্রসমাজের নামে এই অভিযানকে সমর্থন করেছে বিজেপি। তাই এই মিছিল প্রত্যাখানের আহ্বান জানিয়েছেন ‘রাত দখল’ কর্মসূচির মহিলারা।
মঙ্গলবার তাদের তরফে ফেসবুকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “আজ ২৭ আগস্ট ছাত্রসমাজের মিছিল এর ডাক দিয়ে যারা নবান্ন অভিযান ডেকেছে তারাই বিলকিস বানো-র ধর্ষকদের মুক্তির পরে মালা পরায়, কাঠুয়াতে আর উন্নাওতে ধর্ষকদের সমর্থনে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করে। এরাই ব্রিজভূষণ সিং এর ঢাল হয়ে কুস্তিগীরদের আন্দোলনকে দমন করে, আর হাথরাসে নির্যাতিতার নিথর শরীরকে পুড়িয়ে দেয় প্রমাণ লোপাটের জন্য। মণিপুরে প্রশাসনের মদতে গণ-ধর্ষণ সংগঠিত করে।“
ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, “অতএব ধর্ষণসংস্কৃতির ধারক বাহক এই আরএসএস-বিজেপির ডাকা মিছিলের সর্বতোভাবে বিরোধিতা করি আমরা। আরএসএস-বিজেপির শক্তি যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মিছিল সংগঠিত করছে সেভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে এদের মিছিল সংগঠিত করতে দেখা যায় না। নিজেদের গদি দখলের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য এরা সাধারণ মানুষদের ক্ষোভকে ব্যবহার করে আমাদের জীবন বিপন্ন করতে পারে।“
এরপরেই এই মিছিল প্রত্যাখানের আহ্বান জানিয়ে লেখা হয়, “ইতিমধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মিছিলে গুলি চলার ভবিষ্যৎবাণী করে জনমানসে ভয় ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। তাই আমরা সাধারণ মানুষকে এই মিছিল প্রত্যাখান করার আহ্বান জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, বিজেপির অশান্তি বাধানোর চক্রান্ত ব্যর্থ করুন।“
অন্যদিকে, মঙ্গলবারের এই নবান্ন অভিযান রুখতে তৎপর পুলিশ। অশান্তি রুখতে ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। রাস্তায় নামানো হয়েছে অতিরিক্ত ছ’হাজার পুলিশ। গোটা নবান্ন চত্বর ঘিরে ফেলা হয়েছে। ব্যারিকেড, কন্টেনার দিয়ে রাস্তা ঘিরে রাখা হয়েছে। চলছে পুলিশের কড়া নজরদারি। এছাড়া রবার বুলেট, জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের বন্দোবস্তও রয়েছে। কোনওরকম অশান্তির চেষ্টা করলে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন