মাদ্রাসার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে একেরপর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সল্টলেকে বিমান বসু প্রশ্ন করেন, দশ হাজার মাদ্রাসার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী কটা মাদ্রাসা বানিয়েছেন? পাশাপাশী তিনি এও বলেন, বাংলার ভবিষ্যতকে নষ্ট করার অধিকার কারুর নেই।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বার বার আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। যার মধ্যে মাদ্রসার চাকরিপ্রার্থীরাও রয়েছেন। দীর্ঘদিন তাঁরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছেন। এদিন সল্টলেকের করুনাময়ীতে নিয়োগের দাবিতে ধর্না দিচ্ছিলেন তাঁরা। সেই মঞ্চে উপস্থিত হন বিমান বসু। চাকরিপ্রার্থীদের বিভিন্ন দাবি শোনেন তিনি। দাবিগুলি শোনার পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
তিনি বলেন, “প্রশাসন যে ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত সময় দিচ্ছে, তারপর লালবাজারে তুলে নিয়ে যাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে উচিত নয়। অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা চলে গেলে তখন ছাত্র ছাত্রীদের কী হবে?” তাঁকে বলতে শোনা যায়, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ১০ হাজার মাদ্রাসা বানিয়ে দেব। কিন্তু তিনি কটা মাদ্রাসা বানিয়েছেন আজ পর্যন্ত?
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, বাংলার ভবিষ্যতকে নষ্ট করার অধিকার কারুর নেই। মাদ্রাসার শিক্ষক যাদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, যথচিত নিয়ম মাফিক পরীক্ষা দিয়ে তারা সিলেক্টেড হয়েছিল তাদের সকলকে শিক্ষক শিক্ষিকার পদে নিয়োগ করতে হবে। যারা পরীক্ষা না দিয়ে নিয়োজিত হয়েছিল, অকৃতকার্য হয়ে নিয়োজিত হয়েছিল তাদের বাদ দিয়ে যারা কৃতকার্য হয়েছে তাদেরকে নিয়োগ করতে হবে।
তিনি জানান, সেই ব্যবস্থা না করলে ক্ষতি হবে। জুনিয়র মাদ্রাসা সিনিয়র মাদ্রাসা উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষকের অভাব চলছে। এর অবসান ঘটাতে যারা উন্নয়নের ঢক্কানিনাদ করেন তাদের এগিয়ে আসতে হবে তা না হলে সর্বনাশ হবে।
উল্লেখ্য, মাদ্রাসার চকারিপ্রার্থীরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন তাঁদেরকে অবিলম্বে নিয়োগ করার। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ২০১৮ সালে মাদ্রাসা কমিশন নিজেদের ইচ্ছামতো ১৫০০ জনের লিস্ট বের করে। এমন অনেকে আছেন যাঁরা ভুয়ো ভাবে নিয়োজিত হয়েছেন। মাসের বেতনও নিচ্ছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন