দুই উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের অন্য বিচারপতির দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে পুলিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার এক এসডিপিও এবং এক ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিল। বুধবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি.এস শিবজ্ঞানম-এর সিঙ্গেল বেঞ্চের শরণাপন্ন হল তৃণমূল কংগ্রেস।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বেই চূড়ান্ত হিংসার ছবি দেখেছে গোটা রাজ্য। অশান্তির জেরে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ক্যানিংয়ের তৃণমূল পরিচালিত হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সিরাজুল ইসলাম ঘরামী। তাঁর দায়ের করা পিটিশনে ঘরামী জানিয়েছিলেন, ১১ জুন কয়েকজন নির্দল প্রার্থী নিয়ে মনোনয়ন জমা করার উদ্দেশ্যে বিডিও অফিসে যাওয়ার সময় বেশ কিছু দুস্কৃতী তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। এসডিপিও ও আইসি-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তারা কোনওরকম ব্যবস্থা নেননি। দুস্কৃতীদের গুলিতে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আহত হয়েছেন বলেও পিটিশনে অভিযোগ করেন সিরাজুল ইসলাম। এমনকি তাঁর অভিযোগের পরেও পুলিশ ওই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে আহত প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয় বলে জানান তিনি।
এই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের শাসকদলকে ক্যানিংয়ের ওই এসডিপিও এবং আইসি-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মেনে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না করে ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিচারপতি টি.এস শিবজ্ঞানমের সিঙ্গেল বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। বিচারপতি শিবজ্ঞানম সরকারের এই আবেদন মঞ্জুর করে ৫ জুলাই এই মামলার শুনানি ঘোষণা করেন।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন