দলের কোনও ব্যক্তি দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকলে দল কোনওভাবেই তার দায় নেবে না। দলীয় বৈঠকে বিধায়কদের কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভা অধিবেশন। অধিবেশনের প্রথম দিনেই দলের বিধায়কদের উদ্দেশ্যে কার্যত সতর্কবার্তা জারি করলেন ফিরহাদ, শোভনদেব, সুব্রত বক্সীরা।
দুর্নীতির দায়ে ইতিমধ্যেই জেলবন্দি শাসক দলের দুই হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল। বিরোধীদের সাঁড়াশি আক্রমণের চাপে কার্যত কাঠগড়ায় তৃণমূল।
সূত্রের খবর, বিধানসভা অধিবেশনে বিজেপি যাতে দুর্নীতিকে ইস্যু করে কোনওভাবেই তৃণমূলকে খোঁচা দিতে না পারে তাই আগে থেকে বিধায়কদের সর্তক করেছে দল। এদিন পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছেন, পার্থর জন্য দলের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকজন বিধায়কের নামে ইতিমধ্যেই দলের কাছে অভিযোগ এসেছে বলে জানা গেছে।
ফিরহাদের কথায়, গত কয়েকমাস যাবৎ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযান এবং কেন্দ্রের শাসক দলের আক্রমণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। দলীয় নেতাদের সামাজিক ক্ষেত্রে সম্মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, দল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনায়। তাঁর আচরণ, সংবাদমাধ্যমে তাঁকে ঘিরে যা যা তথ্য এসেছে, সেটা দলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ফিরহাদের পাশাপাশি এ দিন বৈঠকে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেদের ভাবমূর্তি যথাযথ রাখুন। বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিন 'আক্রমণাত্মক' ভাবে। মনে রাখবেন একজন চুরি করলে বাকিরা দোষী নয়। ব্যক্তি ভুল করলে তাঁর দায় দল নেবে না। বিধানসভায় বিরোধীরা 'চোর চোর' বলে চেপে ধরলে পাল্টা আক্রমণ করুন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন