'নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তির জন্য আমরা সবসময় সাহায্য করব' - ২ ঘন্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে একথা জানালেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি।
গত ৯ আগস্ট চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতালে কী হয়েছিল এবং ১৪ আগস্ট হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনার সময় কী হয়েছিল - এই বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার মীনাক্ষী মুখার্জিকে তলব করে সিবিআই। সময়মতো সিজিওতে যান বাম যুব নেত্রী। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিজিও থেকে বেরিয়ে ফের দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হন মীনাক্ষী মুখার্জি।
সিজিও থেকে বেরিয়ে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, "নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য যাতে তদন্তে সাহায্য হয় সেই জন্যই আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এই লড়াই যেভাবে চলছিল সেভাবেই চলবে। আন্দোলনকারীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে, হামলা করে এরা প্রতিবাদীদের রাস্তা থেকে সরাতে পারবে না। নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য লড়াই চলবে। ভবিষ্যতে ডাকলে অবশ্যই সাহায্যের জন্য আসব"।
তিনি আরও বলেন, "দেশের মানুষ চাইছে এই ধরণের নৃশংস হত্যার বিচার। সেই কারণেই তো আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, যাতে তদন্তে সাহায্য করতে পারি। আমি সহযোগিতা করেছি। আমরা তো প্রথম থেকেই বলে আসছি নির্যাতিতার সকল দোষীদের শাস্তি চাই। একজন চিকিৎসক নিজের হাসপাতালে, অন ডিউটি থাকা অবস্থায় খুন হয়ে যাবে আর সবাই চুপ করে বসে থাকবে এটা তো কোনও দিন হতে পারে না"।
বাম যুবনেত্রী বলেন, "ডাক্তারবাবুওরাও আন্দোলন করছেন। ওনাদের নাকি ত্রিপল খুলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা পরিষ্কার বলছি যদি একটাও হাত পড়ে তাঁদের গায়ে, রাজ্যের মানুষ কিন্তু ছেড়ে দেবে না"।
প্রসঙ্গত, ৯ আগস্ট রাতে পুলিশ যখন নির্যাতিতার দেহ দাহ করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন, হাসপাতালের সামনেই সেই মৃতদেহবাহী গাড়ি আটকে ছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জি সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব। সেই ভিডিও রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই দিনের ঘটনা এবং ১৪ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুর নিয়েও বেশকিছু তথ্য জানতে চেয়ে মীনাক্ষীকে তলব করেছিল সিবিআই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন