কুণাল ঘোষের অডিওর ভিত্তিতে সিপিআইএমের যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলতে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নায় হামলার ছক কষা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এই নিয়ে ফোনালাপের একটি অডিও ক্লিপও প্রকাশ করেছিলেন। (এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস্ রিপোর্টার)। সেই অডিওর ভিত্তিতে আজ ভোরে ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ। ওই অডিও ক্লিপের সঙ্গে কলতানের যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
গ্রেফতার হওয়ার পর কলতানের দাবি, মূল আন্দোলন থেকে নজর ঘোরাতেই শাসক এবং প্রশাসন যৌথভাবে এই নাটক করছে। তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই এর পিছনে ষড়যন্ত্র আছে। না হলে, নির্যাতিতার বিচারের আসল আন্দোলনের থেকে এ ভাবে দৃষ্টি কেন ঘুরিয়ে দেওয়া হল?”
জানা গেছে, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বামেদের লালবাজার অভিযান কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে ফিয়ার্স লেনে অন্যান্য বাম কর্মী-সমর্থকদের সাথে অবস্থানে ছিলেন কলতান। শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ অবস্থানস্থল থেকে বেরোন তিনি। টালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে কলতানের ট্যাক্সি ঘিরে ফেলে বিশাল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
কলতানের সাথে থাকা আর এক সিপিআইএম নেতা সংগ্রাম চ্যাটার্জিকেও আটক করা হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, কুণাল ঘোষের প্রকাশ করা ফোনালাপের অডিও ক্লিপে দুই ব্যক্তি একে অপরকে ‘স’ এবং ‘ক’ বলে সম্মোধন করছেন। কুণালের দাবি অনুযায়ী, এই দুজনের একজন বাম যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং অপরজন অতি বাম যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এই অডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। শুক্রবার রাতেই হালতু থেকে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীব দাস নামের এক যুবককে। মনে করা হচ্ছে ‘স’ নামধারী ব্যক্তি তিনি। এবার গ্রেফতার করা হল ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্তকে।
সঞ্জীব এবং কলতানের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আওতায় ২২৪, ৩৫২, ৩৫৩, ৩৫১ এবং ৩৬১ নং ধারায় মামলা দায়ের করেছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশ। আজই দুজনকে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন