২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। সোমবার ফের আদালতে পেশ করা হবে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে। প্রসঙ্গত গতকাল বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রীতিমতো দরজা ভেঙে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ইভটিজিংয়ের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দুপুরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে ফেলে বিজেপি নেতার মুচিপাড়ার বাড়ি। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় প্রথমে ঘরে ঢুকতে পারেনি পুলিশ। পরে দরজা ভেঙে পুলিশ ঢুকে পড়ে সজল ঘোষের বাড়িতে। তাঁকে কার্যত টেনে হিঁচড়ে বাড়ি থেকে মুচিপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । গোটা ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় মুচিপাড়া এলাকায়। ঘটনাস্থলে থাকে বিশাল পুলিশবাহিনী।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে, এক মহিলা তৃণমূলকর্মীর শ্লীলতাহানী করা হয়েছে বলে অভিয়োগ ওঠে। রাতেই কলকাতা পুরসভার ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, দুস্কৃতিদের মদত দিচ্ছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। মুচিপাড়া থানাতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। শুক্রবার সকাল থেকে ওই এলাকায় ফের উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পক্ষেরই অন্তত ১০ জন। স্থানীয় একটি ক্লাবে ব্যপক ভাঙচুর করা হয়। ওই ক্লাবের সদস্যরা বিজেপির সমর্থক বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সজল ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি।
অপরদিকে তৃণমূলের দাবি, বিজেপি সমর্থকরাই ক্লাব ভাঙচুরে জড়িত। এই অভিযোগে মুচিপাড়া থানায় আরেকটি এফআইআর দায়ের করে তৃণমূল নেতারা। এরপরই পুলিশ যায় বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাড়ি। মুচিপাড়া থানার ওসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে সজল ঘোষের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এরপরই তাঁকে বেরিয়ে আসার আবেদন করে পুলিশ।
কিন্তু তিনি বার হতে অস্বীকার করতে পুলিশ রীতিমতো লাথি মেরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। সজল ঘোষকে কার্যত টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেই সময় চিৎকার করে বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা যায়, তিনি নির্দোষ, বিজেপি করার অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এরপরই ওই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা মুচিপাড়া থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। যদিও পুলিশের দাবি, বিজেপির তরফে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি এখনও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন