আনিস খান মামলায় হাইকোর্টে শুনানিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল রাজ্যের পক্ষ থেকে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিচারপতিকে জানান আনিসের হত্যায় পুলিশের গাফিলতি ছিল। ঐ পুলিশকর্মীদের যথাযথ শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয় আনিসের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের দোষেই তবে সেটি ইচ্ছাকৃত নয়। তাই সেখানে ৩০২ ধারা যুক্ত করা উচিত নয়। আনিসের খুন বা আত্মহত্যা হয়নি। হাইকোর্টে আইনজীবী জানান আমতা থানার ওসি আনিসকে চিনতেন না। পুলিশি অভিযান আইন মেনে হয়নি বলেও অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান।
সূত্রের খবর, আনিস খানের মোবাইল ফরেন্সিক টেস্টে পাঠানো হলে সেখান থেকে চক্রান্তের কোনও সন্ধান মেলেনি। শুনানিতে আদালতে এখনও ঐদিন পুলিশকর্মীদের কাজ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে গেছে। তদন্তের ক্ষেত্রে যান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি নির্দেশ দেন তদন্ত প্রক্রিয়া এমনভাবে হওয়া উচিত যাতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আনিসের বাড়ির লোক আস্থা পায়।
এই বিষয়ে আনিস খানের বাবা সালেম খান সংবাদমাধ্যমে জানান, পুলিশ খুন করেছে আনিস খানকে। আগে কোনোদিন পুলিশ তাদের বাড়িতে আসেনি তাহলে সেইদিন রাতে কীসের জন্য গিয়েছিল? তিনি বলেন তিনি কোনো আসামী নন তাই পলিগ্রাফী টেস্ট করাতে অনড়। এর আগেও এই টেস্ট করাতে রাজী ছিলেন না আনিসের বাবা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগেও সিটের রিপোর্ট নিয়ে সন্তুষ্ট নয় আনিসের পরিবারও। আনিসের বাবা বারবার দাবি করেছেন পুলিশ তাঁর ছেলেকে খুন করেছে। একাধিকবার তিনি হাইকোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। সিট তাঁদের কোনও তথ্য দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছিলেন আনিস খানের বাবা। এখন দেখার বিষয় পরবর্তী শুনানিতে আদালত কী রায় দেয়। পরবর্তী শুনানির দিন ৭ জুন ধার্য করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন