পুলিশ টাকা অফার করেছিল, দেহ রাখতে চেয়েছিলাম কিন্তু... - বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার

People's Reporter: নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আমরা দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০০-৪০০ পুলিশ টালা থানা ঘিরে রেখেছিল। বাড়ি ফিরে গিয়ে দেখি সেখানেও ৪০০ পুলিশ। আমাদের খুব চাপে রাখা হয়েছিল।"
পুলিশ টাকা অফার করেছিল, দেহ রাখতে চেয়েছিলাম কিন্তু... - বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার
ফাইল ছবি
Published on

আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবাকে টাকা অফার করেছিল পুলিশ! চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করলেন নির্যাতিতার বাবা নিজেই।

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রাতে ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামের কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। সেই কর্মসূচীতে সামিল হতে এদিন আর জি করে গিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন তাঁরা।

নির্যাতিতার বাবার প্রশ্ন, “আর জি কর আউট পোস্টের পুলিশ সকাল ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ ঘটনার কথা জানতে পেরেছিল। কেন তখনই আমার মেয়ের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়নি? বেলা ১১টা নাগাদ কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বলে দেওয়া হল আমাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন, কেন? ১২টা ১০ নাগাদ এখানে আসি। তারপর তিনঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল আমাদের। ওর মা পুলিশের হাতে-পায়ে ধরেছেন মেয়ের মুখ দেখার জন্য। কেন পোস্ট মর্টেম করতে এতো দেরী হল? আমি টালা থানায় এফআইআর করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে। কিন্তু সেই এফআইআর রাত পৌনে ১২টায় নথিভুক্ত হল। আমি পরে এটা জানতে পেরেছি। এত দেরী কেন হল?”

পুলিশের বিরুদ্ধে মেয়ের দেহ হাইজ্যাকের অভিযোগ করেছে পরিবার। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আমরা দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০০-৪০০ পুলিশ টালা থানা ঘিরে রেখেছিল। আমরা সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যাই। সেখানে গিয়েও দেখি ৪০০ পুলিশ। আমাদের খুব চাপে রাখা হয়েছিল। দেহ দাহ করতে দিতে বাধ্য হই আমরা। শ্মশানের খরচ কে দিয়েছে আমরা জানিনা। আমার মেয়ে জানল, তাঁর শেষ যাত্রায় তাঁর বাপি এইটুকু টাকাও দিতে পারলো না। কে ফ্রি করেছে, কেন করেছে জানিনা। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বার বার মিথ্যা কথা বলছেন।“

তিনি বলেন, “মেয়ের দেহ যখন আমাদের বাড়িতে আনা হয়, তখন ডিসি নর্থ আমাকে অন্য একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা তখনই তার উত্তর দিয়েছি। সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল। আমি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিই।“

বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যত দিন বিচার না পাচ্ছি, আন্দোলন চলুক।“

পুলিশ টাকা অফার করেছিল, দেহ রাখতে চেয়েছিলাম কিন্তু... - বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার
‘মেয়েদের ছোটো করা হচ্ছে’ – মহিলাদের রাতে কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা-মা

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in