প্রাথমিক টেট-উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের দাবি আইনানুগ নয়। তাঁদের এই বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে। মঙ্গলবার, সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
চাকরির দাবিতে, সোমবার, সকাল ১১ টা থেকে, পর্ষদের অফিসের পাশেই বিক্ষোভ অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-উত্তীর্ণেরা। প্রায় ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। তারপর, কোনও আশ্বাস বা সমাধান মেলা তো দূর অস্ত - পুরো বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক’ বলে অভিহিত করেছেন একদা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য গৌতম পাল।
দুর্নীতির কারণে- চাকরী পাননি প্রাথমিক টেট-উত্তীর্ণেরা। বঞ্চিত করা হয়েছে তাঁদের। এই অভিযোগে যখন উত্তাল আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবন চত্বর। সেই সময়- চাকরী প্রার্থীদের দাবী ‘অন্যায্য’ বলে দাবি করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু, তাঁদের (পড়ুন চাকরিপ্রার্থীদের) অন্যায্য দাবি মানা যায় না।’
শুধু তাই নয়, এই আন্দোলনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ আছে বলে দাবি করেন পর্ষদ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বহু স্তরীয় বা এক স্তরীয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, তাঁরা কিন্তু যেনতেন প্রকারণে এই ধরণের আন্দোলনকে অনুপ্রানিত করেছে। আগামীদিনে বোর্ড যে নিয়োগ করতে যাচ্ছে, যেনতেন প্রকারণে সেটাকে বাঁধা দিয়ে এই আন্দলনকে জিইয়ে রাখার প্রচেষ্টা করছেন।’
এদিন গৌতম জানান, ২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা গত দু’বার ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েও উর্ত্তীর্ণ হতে পারেননি। তাই তাঁদের আবার ২০১৭ সালের প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, 'এজ (বয়স) অনেকের পেরিয়ে গেছে। নন-ইনক্লুডেড যারা এমপ্লানেড (মেধাতালিকাভুক্ত) হননি, ইতিমধ্যে তাঁদের অনেকের চল্লিশ বছর বয়সি পেরিয়ে গেছে, এ নিয়ে বোর্ডের কিছু করার নেই। একথা আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি।'
তবে, টেট উর্ত্তীর্ণদের দু’বার ইন্টারভিউ এবং এমপ্লানেড (মেধাতালিকাভুক্ত) নিয়ে পর্ষদ সভাপতি যে সভাপতি করেছেন, তা উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এক চাকরীপ্রার্থীর জানান, আমাদের প্যানেলটা কোথায়? পর্ষদ সভাপতি আমাদের সেই প্যানেলটা দেখিয়ে দিন, আমরা আর এখানে এসে চাকরীর দাবি করতে যাবো না।
চাকরী প্রার্থীদের প্রশ্ন, কিভাবে উনি স্বচ্ছ নিয়োগ করবেন? যেখানে অপসারিত পর্ষদ সভাপতি কোর্টে গিয়ে স্বীকার করেছেন, আমাদের OMR শিট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি (গৌতম) কোন নীতিতে আমাদের মেধাতালিকা প্রকাশ করবেন?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন