শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের নামে ২০০ টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং তাতে জমা পড়েছে ৭০ কোটি টাকা। বুধবার আদালতে এমনটাই দাবি করে আগামী সোমবার পর্যন্ত প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে রাখার দাবি জানায় ইডি। আদালত এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারী রাতে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন রায়কে ফের গ্রেফতার করে ইডি। বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ছিল এই মামলার শুনানি। এদিন আদালতে প্রসন্নের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ইডি।
সেই লিখিত অভিযোগে ইডির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, প্রসন্নের নামে ১০০টির বেশি সংস্থা রয়েছে। ২০০টির বেশি অ্যাকাউন্টই তাঁর নামে রয়েছে। প্রসন্ন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন বলেও দাবি করেছে ইডি। ওই সমস্ত সম্পত্তি কেনা হয়েছে অত্যন্ত কম দামে। যা প্রসন্ন দুর্নীতির টাকা থেকে কিনেছেন বলে অনুমান।
এছাড়াও ইডির পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, এসএসসির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে যখন, তখন প্রসন্নের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে অন্তত ৭০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। প্রসন্ন নিজেই জেরার মুখে সেই লেনদেন সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ইডিকে জানিয়েছেন।
আগামী সোমবার পর্যন্ত তাই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রেখেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে ইডি আবেদন করেছিল আদালতে। বুধবার ইডির সেই আবেদন মুঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ছিল এই মামলার শুনানি। আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত প্রসন্ন রায়কে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন প্রসন্ন রায়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া। তিনি একাই ১০০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে দাবি করে ইডি। এ ছাড়া, প্রসন্নের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট নিয়ে কারচুপির অভিযোগও তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন