আইপ্যাক কোনোদিন তৃণমূলের ডিজিটাল মাধ্যম পরিচালনা করেনি। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবির পরই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার তরফ থেকে ট্যুইট করে একথা জানানো হয়েছে।
ট্যুইটারে আইপ্যাক বলেছে, "আইপ্যাক কখনও তৃণমূল বা দলের নেতার কোনোরকম ডিজিটাল মাধ্যম পরিচালনা করেনি। কেউ এরকম দাবি করলে হয় তিনি মিথ্যা কথা বলছেন নয় এটা তাঁর অজ্ঞতা। দল বা নেতাদের ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার (অপ) করা হচ্ছে ফলে যে অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের তা খতিয়ে দেখা উচিত।"
তৃণমূলে 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতিকে সমর্থন করে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করা হয় শুক্রবার বিকেলে। এই নিয়ে সমালোচনা শুরু হলেই মন্ত্রী দাবি করেন তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল আইপ্যাক নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি এই পোস্ট সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এরপরই আইপ্যাকের তরফ থেকে এই ট্যুইট করা হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতিকে কেন্দ্র করে কার্যত দু'ভাগ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। এই নীতি চালুর পক্ষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে এই নীতিতে সমর্থন নেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলের অনেক নেতাই এই নীতির পক্ষে সওয়াল করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এই নীতি সংক্রান্ত সমস্ত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
অন্যদিকে পুরসভার নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সাথে আইপ্যাকের সম্পর্কও খারাপ হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথমে দলের অফিসিয়াল সাইটে একটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়। খবরে প্রকাশিত, আইপ্যাক তৃণমূলের অফিসিয়াল সাইট পরিচালনা করে এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া আইপ্যাকই এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই ঘটনার পরই আইপ্যাকের সাথে তৃণমূলের সম্পর্ক শেষের জল্পনা ওঠে রাজনৈতিক মহলে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন