চলতি বছর হচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট। সোমবার এমনটাই জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। এর জন্য আইনি জটিলতা এবং পূর্বে পাশ করা প্রার্থীদের এখনও নিয়োগ না হওয়াকেই দায়ী করলেন পর্ষদ সভাপতি। তবে, তাঁর আশ্বাস, আগামী ছ’মাসের মধ্যে নেওয়া হবে টেট।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ২০২২ সালে হয়েছিল টেট পরীক্ষা। এরপর ২০২৩ সালেও হয় পরীক্ষা। সেই নিয়ম মেনে চলতি বছর ডিসেম্বর মাসে হওয়ার কথা ছিল টেট। তার আগে সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানালেন, ‘‘২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যেক বছর টেট গ্রহণ করা। পর পর দু’বছর আমরা তা করেছি। কিন্তু দু’বছরে যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন, বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে তাঁদের নিয়োগই এখনও শুরু হয়নি। তাই টেট এ বছরে না হলেও কিছুটা পিছিয়ে তা ছ’মাসের মধ্যে গ্রহণ করা হবে।’’
২০২২ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। উত্তীর্ণ হন প্রায় দেড় লক্ষ। এর পরের বছর ২০২৩ সালে ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার জন। পরীক্ষার পর বছর ঘুরতে চললেও এখনও ফলপ্রকাশ করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গৌতম বাবু বলেন, ‘‘বেশ কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। তা দূর করে খুব শীঘ্রই আমরা ফলপ্রকাশ করব। আমরা চাই, স্বচ্ছতা বজায় থাকুক।’’
উল্লেখ্য, পর্ষদের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গৌতম পাল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রতি বছর হবে টেট পরীক্ষা। প্রয়োজনে বছরে দু'বার নেওয়া হবে পরীক্ষা। কিন্তু প্রতি বছর দু'বার হওয়া তো দুরের কথা, এবছর পরীক্ষাই করবে না পর্ষদ। এবছর পরীক্ষা না হওয়ায় ডিএলএড পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও ডিসেম্বরে পরীক্ষা না হলেও আগামী ছ’মাসের মধ্যে নেওয়া হবে টেট পরীক্ষা। এদিন সেই আশ্বাস দেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
এ নিয়ে কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসের মন্তব্য, ‘‘এটা অনভিপ্রেত, কোনও কাজ করার আগেই ভাবা উচিত, তা নিয়মবিরুদ্ধ হলে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হবেই।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন