শিক্ষকের অভাবে পুনর্নবীকরণ থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে রাজ্যের ২৫০টি বিএড কলেজ। কলেজগুলির কর্তৃপক্ষের অভিযোগ বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। তাদের অনীহার কারণেই নাকি পুনর্নবীকরণ সম্ভব হচ্ছে না।
৪ নভেম্বর রাজ্যের বিএড কলেজগুলির পুনর্নবীকরণের শেষ দিন। এর মধ্যে সমস্ত নিয়ম মেনে পুনর্নবীকরণ না হলে পড়ুয়াদের ক্ষতি হবে। কিন্তু কলেজগুলির অধ্যক্ষরা জানাচ্ছেন, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি কলেজে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী সঠিক অনুপাতে থাকতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ কলেজেই শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষক বা অধ্যাপকের সংখ্যা কম। বার বার শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করা হলেও বিএড বিশ্ববিদ্যালয় কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, বেশ কিছু বিএড কলেজ শেষ মুহূর্তে জানিয়েছে তাদের শিক্ষক সংখ্যা কম। এত কম সমেয়ের মধ্যে ২০০-র বেশি কলেজে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ আয়োজন করা অসম্ভব।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে ২৪টি সরকারি এবং ৬০০টি বেসরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৩৫০টি কলেজ পুনর্নবীকরণের সমস্ত শর্ত পালন করেছে। পড়ুয়াদের জন্য এনটিসিই-র নির্দেশিকা মানতেই হবে।
একটি বেসরকারি বিএড কলেজের কর্তৃপক্ষ বলেন, "একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চালানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই ফিরিয়ে দিয়েছে। কলেজে প্রচুর পড়ুয়া রয়েছে। পুনর্নবীকরণের সময়সীমা বৃদ্ধি না করলে সকলের ভবিষ্যত নষ্ট হবে। নতুন শিক্ষা বর্ষে পড়ুয়া ভর্তিতেও সমস্যা হবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন