রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হলো কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি দায়ের করেছেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক। আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানি হতে পারে।
বিশ্ব বিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে অনেক আগেই রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছিল। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতে। নতুন করে ফের জটিলতা তৈরি হলো রাজ্যপালের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা নিয়ে। সি ভি আনন্দ বোসের উপাচার্য নিয়োগের বিরুদ্ধে এক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। আগামী সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে।
রাজ্যপাল হলেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। নিয়মানুযায়ী তিনি উপাচার্যদের নিয়োগ করতে পারেন। তবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্যপাল একতরফা ভাবে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের সাথে একবার আলোচনা করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের নথিতে কোথাও অ্যাপয়েন্টমেন্ট কথাটির উল্লেখ নেই। পুরো বিষয়টা যেন ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিভি আনন্দ বোস সম্প্রতি ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। যার মধ্যে ১০ জন নিয়োগপত্র গ্রহণ করেছেন। ১ জন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিয়োগপত্র গ্রহণ করেননি। বিশ্ববিদ্যালগুলি হলো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাবাসাহেব অম্বেডকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়।
গত বুধবার রাজ্যের ১৪টি উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য বৈঠক করেন রাজ্যপাল। ওই বৈঠকেই ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্যদের নাম স্থির হয়। সেই তালিকা মতোই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন