তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে ডেকে পাঠানো হল লালবাজারে। তাঁকে বেশ কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একাধিকবার আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তিনি। সূত্র অনুসারে, তাঁকে রবিবার বিকেলের মধ্যেই কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদের এই পোস্টের বিরোধিতা করে পাল্টা পোষ্ট করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
১৮ আগস্ট রাত ১২টা ১৯ মিনিটে এক এক্স হ্যান্ডেল (পূর্বতন ট্যুইটার) পোষ্টে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় লেখেন, ‘‘সিবিআইকে স্বচ্ছভাবে তদন্ত করতে হবে। কে, কারা, কেন আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করেছিল, তা জানার জন্য আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। কেন সেমিনার হলের কাছে ঘরের দেওয়াল ভেঙে ফেলা হল? কার প্রশ্রয়ে রায় এত ক্ষমতাবান হয়ে উঠল? কেন ঘটনার তিন দিন পর স্নিফার ডগ ব্যবহার করা হল? এই ধরণের শতাধিক প্রশ্ন আছে উত্তর ওদের দিতে হবে।”
এর আগে তৃণমূল সাংসদ আর জি করের ঘটনা প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন। গত ১৩ আগস্ট এক এক্স পোষ্টে তিনি লেখেন, "আর জি কর হাসপাতালে গণধর্ষণ ও নির্মম হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তারা কারা? এখন তদন্তে সিবিআই। ভাল, যদিও সিবিআই-এর প্রতি আমার বিশ্বাস নেই। তারা অতি বোকা। তবুও সত্য উন্মোচন করতে হবে। কেন দুষ্কৃতীদের ঢাল করার চেষ্টা হচ্ছে? অপরাধ যেই করুক তাকে ফাঁসি দিতে হবে।"
গতকাল তৃণমূল সাংসদের পোস্টের পর পাল্টা পোষ্ট করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সুখেন্দু শেখর রায়ের পোস্টের বিরোধিতা করে তিনি লেখেন, সুখেন্দুর এই পোষ্ট দুর্ভাগ্যজনক। এদিন সকাল ১০.২০ মিনিটে কুণাল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে সুখেন্দুর ট্যুইট উদ্ধৃত করে লেখেন, “আর জি কর মামলার বিচার আমিও চাই। কিন্তু সিপি সংক্রান্ত এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করছি। তথ্য পাওয়ার পর তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে সিপি তার কাজ করছিলেন এবং তদন্ত একটি ইতিবাচক দিকে ছিল। এই ধরনের পোস্ট দুর্ভাগ্যজনক, তাও আবার আমার সিনিয়র নেতার কাছ থেকে।”
জানা যাচ্ছে, ভুয়ো তথ্য প্রচারের কারণেই সুখেন্দু শেখর রায়কে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে। লালবাজারের বক্তব্য, ঘটনার দিনেই স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছিল এবং পরে ১২ আগস্ট আবার স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সেক্ষেত্রে তিন দিন পর স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশির তথ্য তিনি কোথা থেকে পেলেন? গত শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছিলেন, ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন প্রচার বন্ধ না করলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন