বুধবার সকালে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এই নিয়ে টানা ষষ্ঠ দিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন তিনি। অন্যদিকে, বুধবার দুপুর ১২ টা নাগাদ লালবাজারও তলব করেছে সন্দীপ ঘোষকে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার প্রথম সন্দীপ ঘোষকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু সেদিন হাজিরা দেননি তিনি। এরপর শুক্রবার কার্যত রাস্তা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তারপর থেকে টানা ছ’দিন পরপর সিজিওতে হাজিরা দিলেন তিনি। বুধবার সকাল সওয়া ৯ টা নাগাদ একটা ফাইল হাতে সিজিওতে হাজিরা দেন সন্দীপ। যদিও কেন এত বার তলব, সে বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
অন্যদিকে, বুধবার দুপুর ১২ টা নাগাদ কলকাতা পুলিশ তলব করেছে সন্দীপ ঘোষকে। গত ৯ আগষ্ট ঘটে যাওয়া নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে ফেলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই কারণেই সন্দীপ ঘোষকে তলব করা হয়েছে। যদিও, তিনি লালবাজারে হাজিরা দেবেন কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম এবং ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজ মাধ্যমে। তার প্রেক্ষিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করেছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ নিজেই নির্যাতিতার নাম সামনে আনে। তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা রজু করে কলকাতা পুলিশ। তার প্রেক্ষিতেই বুধবার সন্দীপ ঘোষকে তলব করেছে লালবাজার।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিল আর জি করের পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সন্দীপ ঘোষ প্রভাবশালী। গত ১২ আগষ্ট সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। স্বাস্থ্য ভবনে নিজের পদত্যাগ পত্রও জমা দেন তিনি। যদিও তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ করা হয় তাঁকে। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ছুটিতে যান তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন