বৃহস্পতিবার ছটপুজো। দূষণ এড়াতে বুধবার রাত থেকে বন্ধ থাকবে রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবর। প্রবেশদ্বার খুলবে আবার শুক্রবার দুপুরে। পাশাপাশি, ছটপুজো উপলক্ষ্যে দুই সরোবরের নিরাপত্তার জন্য ১৫০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করেছে কলকাতা পুলিশ। এই দু’দিন দুই সরোবরেই একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে সব প্রবেশদ্বারে থাকছে বিশেষ পাহারা।
ছটপুজো উপলক্ষ্যে আগে এই দু’ই সরোবর খোলা রাখা হতো। কিন্তু এর ফলে সরোবরে মারাত্মক দূষণ হতো। দূষণের ফলে জলে থাকা মাছ মারা যাচ্ছিল। দূষণ রুখতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এর পরেই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় এই দুই সরোবরে ছটপুজো বন্ধের। বুধবার রাত ৮ টা থেকে বন্ধ থাকবে দুই সরোবর। শুক্রবার বেলা ১২ টায় খোলা হবে দুই সরোবরের প্রবেশদ্বার।
লালবাজার সূত্রের খবর, শহরের মোট ৯ টি জায়গায় ছটপুজো বন্ধের নির্দেশ আছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বহু মানুষ সরোবরের পিছনের গেট দিয়ে প্রতি বছর প্রবেশ করার চেষ্টা করে। তাই সতর্কতার জন্য বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এই সরোবরের বদলে গল্ফগ্রিন, কসবা, যাদবপুর এলাকায় অস্থায়ী জলাশয়ে ছটপুজোর আয়োজন করা হয়। ছোট পুকুর, ঘাট, অস্থায়ী ঘাট মিলিয়ে ১০০টি জলাশয়ে ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে স্থানীয় থানার পুলিশ। ছটপুজো উপলক্ষ্যে শহরে মোট পাঁচ হাজার বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। ঘাটে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বুধবার বাজে কদমতলা ঘাট, তক্তাঘাট ছটপুজোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি, শহরে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো ঠেকাতেও তৎপর পুলিশ। ছটপুজো দিতে যাওয়ার সময়, ছোট লরি থেকে শব্দবাজি রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়। তার ফলে অনেক সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সে নিয়েও তৎপর পুলিশ। এবার এমন কোনও ঘটনা ঘটলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, ছটপুজো উপলক্ষ্যে আজ ও কাল শহরের নানা রাস্তায় যান কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন