যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের র্যাগিং-র অভিযোগ উঠলো। তবে এবার হস্টেলে নয়, মেইন ক্যাম্পাসেই দুই পড়ুয়াকে র্যাগিং-র শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
কিছু মাস আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়েছিল। সেই মামলায় দোষীরা এখনও শাস্তি পায়নি। তার মধ্যেই ফের র্যাগিং-র অভিযোগ উঠলো। একটি র্যাগিংয়ের ঘটনা ওই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার অনেক আগেই ঘটেছে। কিন্তু অভিযোগ সম্প্রতি সামনে এসেছে।
দুটি র্যাগিং-র ঘটনার মধ্যে একটি ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে এবং অন্যটি ঘটেছে মেইন ক্যাম্পাসে। মেইন ক্যাম্পাসের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া এবং সল্টলেক ক্যাম্পাসের কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক পড়ুয়া র্যাগিং-র শিকার হয়েছে। সল্টলেক ক্যাম্পাসের ঘটনাটি পুরনো।
র্যাগিং-র অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে প্রশাসনিক গাফিলতিও চোখে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের চেয়ারম্যান ফার্মাসিউটিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক সন্ময় কর্মকার জরুরি বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনিক গাফিলতিতে সেই বৈঠক হয়নি। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই অধ্যাপক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে চিঠি লিখে নিজের পদত্যাগের কথা বলেন। তাঁর দাবি, অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের চেয়ারম্যানের কথায় যদি কেউ গুরুত্ব না দেয় তাহলে সেই পদে থেকে লাভ নেই। অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দফতর, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারকে ইমেল করেও কোনও লাভ হয়নি।
অধ্যাপক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "১০ অগাস্ট ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরেও কর্তৃপক্ষ দোষীদের শাস্তির ক্ষেত্রে ইচ্ছে করে টালবাহানা করছেন। অতীতের ঘটনা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও শিক্ষা নেননি। সেটা ফের প্রমাণিত হলো"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন