তিনি যে তৃণমূলেই যাবেন সেই জল্পনা গত কয়েকদিন থেকেই ছিল। বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণার দিন তা আরও স্পষ্ট হয়। অবশেষে জল্পনাকে সত্যি করে নিজের পুরনো দলেই ফিরে গেলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বুধবার কলকাতার একটি বেসরকারি হোটেলে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কথা দেন, তা করে দেখান। ভোটের আগে উনি যা যা বলেছিলেন ক্ষমতায় ফিরে সেই সব করে দেখিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে আমি অভিভূত।" দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশংসা করেছেন তিনি।
বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, "বিজেপিতে ভালো কাজের মূল্যায়ন নেই, পরিবেশ নেই। আছে শুধু ষড়যন্ত্র। ছ'মাস আগে ভুল করেছিলাম। এবার তা শুধরে নিচ্ছি।"
অপরদিকে কৃষ্ণ কল্যাণী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁকে ব্যবসায়ী বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, "উনি বড় ব্যবসায়ী। আর পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসা করতে হলে কী করতে হয় সবাই জানে। রায়গঞ্জের মানুষের থেকে জবাব পেয়ে যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বহুদিন থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অনুপ্রাণিত হওয়ার হলে আগেই হতেন। এখন হঠাৎ হওয়ার কী হলো? এভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না।"
বিধানসভা ভোটের মাত্র তিন মাস আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জের টিকিট পান এবং জিতেও যান। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর সাথে তাঁর মতবিরোধ শুরু হয়। প্রকাশ্যেই দেবশ্রী চৌধুরী এবং দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন তিনি। এরপর গত ১ অক্টোবর বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের পর এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ জন বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন