'(অ)সুস্থ' টালা থানার ওসিকে দেখার জন্য এক্সাইড মোড় থেকে মিছিল করবেন সাধারণ মানুষ। শনিবার বিকেল ৫টা থেকে এই মিছিল শুরু হওয়ার কথা। সকলের একটাই প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে হাজিরার আগেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে গেলেন কিভাবে ওসি?
আরজি কর হাসপাতালটি টালা থানার অধীনে। নির্যাতিতার বাবা টালা থানায় অভিযোগ জানানো সত্বেও কেন থানা কয়েক ঘণ্টা দেরীতে এফআইআর দায়ের করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের প্রধান বিচারপতি পরবর্তী শুনানিতে (৫ সেপ্টেম্বর যা হওয়ার কথা ছিল) টালা থানার ওসিকে আদালতে সশীরের হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেই ওসি এখন অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি। তিনি কেমন আছেন? তাঁর শারীরিক অবস্থার পরিস্থিতি কী? ঠিক কী কারণে তিনি ভর্তি হয়েছেন তা অনেকেই জানতে চাইছেন। উদ্যোক্তাদের দাবি টালা থানার ওসির সাথে দেখা করার জন্য এই মিছিল।
৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন টালা থানার ওসি। জানা গেছে ৬টি হাসপাতাল তাঁকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। তারপর ভাবানীপুরের এক হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ওসির একটি ছবি ভাইরাল হয়, যেখানে তাঁকে হাসপাতালের বেডে বসে মোবাইলে কিছু একটা করতে দেখা যাচ্ছে। এরপরই প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি আদৌ অসুস্থ নাকি সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা এড়াতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন? এরপরই এই মিছিলের আয়োজন করেন উদ্যোক্তারা এবং সোশ্যাল মিডিয়া মারফত এই মিছিলে সাধারণ মানুষকে সামিল হওয়ার বার্তা দেন তাঁরা।
উদ্যোক্তারা জানান, ৬টি হাসপাতাল সুস্থ ঘোষণা করার পর শেষে ভর্তি হলেন ভবানীপুরের এক হাসপাতালে। কী কারণে ভর্তি হতে হয়েছে তা আমাদের জানতে হবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তিনি হাজিরা দেবেন না? উনি যদি সত্যিই অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে ৬টি হাসপাতাল সুস্থ বললো কেন?
জানা যায়, বুকে ব্যথা নিয়ে শহরের একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য ঘুরেছিলেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। হাসপাতালগুলির তরফ থেকে জানানো হয়, শরীরে জলের অভাব ছিল। রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি ছিল না।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই টালা থানার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার। এফআইআর দায়ের হওয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই ওসির গাফিলতির অভিযোগ করেন আইনজীবীরাও। যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল পরবর্তী শুনানিতে ওই ওসিকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন