রামপুরহাট কান্ডের ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনাকে 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা' হিসেবে দেখাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে সেরকমই ইঙ্গিত করেছেন তিনি। ১০ জনের সম্পূর্ণ দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে 'ইন্সিডেন্ট ইজ আনফরচুনেট' বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যুর পর রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও প্রায় ৪০ জন। এই ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। 'হিংসার সংস্কৃতি ও অরাজকতার গ্রাসে চলে গিয়েছে রাজ্য' বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজ্যপালের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি লেখেন, তৃণমূলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, যিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও ছিলেন, কয়েকজন দুষ্কৃতী নৃশংসভাবে তাঁকে হত্যা করেছে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগানোর ফলে মূল্যবান কয়েকটি মূল্যবান জীবন শেষ হয়ে গেছে। রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে এখানে।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সমস্ত ঘটনার তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যপাল 'কান্ডজ্ঞানহীন এবং অবাঞ্চিত মন্তব্য' করছেন, যা তাঁর পদমর্যাদার উপযুক্ত নয়।
রাজ্যপালকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি প্রসঙ্গে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "নৃশংস ভয়াবহ গণহত্যার পর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন 'কয়েকটি মৃত্যু'! এটা রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর বিষয় নয়। রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার বিষয়। কেন রাজ্যপালকে চিঠি লিখছেন মমতা ব্যানার্জি? যা জানানোর রাজ্যের মানুষকে সরাসরি জানাচ্ছেন না কেন?"
আজ সকালেই বগটুই গ্রামে পৌঁছেছেন মহম্মদ সেলিম সহ সিপিআইএম নেতৃত্ব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন