রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বাকিবুর রহমানের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। যার মধ্যে দেড় হাজার কাঠার বেশি জমি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন দুর্নীতিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যেখানেই তল্লাশিতে নামছে সেখানেই কোটি কোটি টাকার সন্ধান পাচ্ছে। এবার রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুর রহমানকে জেরা করে কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, বাকিবুরের কলকাতা এবং বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ৯টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যার বেশিরভাগই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। এছাড়া ব্যাঙ্গালোর ও দুবাইতে ফ্ল্যাট রয়েছে। কৈখালিতে একটি পানশালাও আছে। এছাড়া চালকল ও গমকলও আছে। নিউটাউনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও আছে বাকিবুরের।
ইডি সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাকিবুরের একাধিক জমি রয়েছে। মোট ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমি আছে বাকিবুরের। ধৃত ও তাঁর আত্মীয়দের নামে মোট ৯৫টি জমির খোজঁ মিলেছে। যদিও বাকিবুর এই সমস্ত কিছুই অস্বীকার করেছেন। একাধিকবার সাংবাদিকদের সামনে তিনি দাবি করেছেন, তিনি কোনও দুর্নীতির সাথে যুক্ত নন।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তল্লাশি শুরু হয় ওই ব্যবসায়ীর কৈখালির ফ্ল্যাটে। নিউটাউন সল্টলেক এবং নদিয়ার বিভিন্ন রেশন দোকানেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। পাশাপাশি বাকিবুর ঘনিষ্ঠ অভিষেক বিশ্বাসের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। টানা ৫৩ ঘন্টা তল্লাশি চালানো হয়। ধৃতের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ১০০টির বেশি সরকারি স্ট্যাম্পের সন্ধান এবং ৫০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক লেনদেনের নথি উদ্ধার হয়েছিল। বাকিবুরকে আটক গ্রেফতার করার পরই নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। যদিও বাকিবুরকে চেনেন না বলেই রাজ্যের মন্ত্রী দাবি করেছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন