ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের হেরিটেজ ভবন ভাঙার কাজে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার রাজ্যকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২১ নভেম্বর।
এদিন (সোমবার) উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের মামলাটির শুনানি ছিল। শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে জানিয়েছে, অবিলম্বে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থানে সমস্ত ধরণের নির্মাণকার্য বন্ধ করতে হবে। আদালতের নির্দেশ অবমাননা করেও যদি নির্মাণকার্য চলতে থাকে, তার জবাবদিহি করতে হবে রাজ্যকেই। পাশাপাশি, এই বিষয়ে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সম্প্রতি, হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অব্যবহৃত ঘর ভেঙে নির্মাণকার্য চালানোর অভিযোগ ওঠে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন স্বদেশ মজুমদার নামের এক ব্যক্তি। আদালতের সওয়ালে মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তীর অভিযোগ, জোড়াসাঁকো ভবন ‘গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ’। সেই ভবনেরই দু’টি ঘর ভেঙে ফেলা হচ্ছে!
শুধু তাই নয়, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল, সেখানে ‘শিক্ষাবন্ধু সমিতি’ নামে একটি দলীয় কার্যালয় চালু করেছে তৃণমূল। এমনকি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি খুলে সেই জায়গায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত সমিতির তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন